ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০১৭ সালেই শেষ হবে পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
২০১৭ সালেই শেষ হবে পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

ঢাকা: পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে প্রায় ৬০ভাগ শেষ হয়েছে।

অবশিষ্ট কাজ চলছে পুরোদমে।

তবে স্যুয়‍ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষ হতে ২০১৮ সালের জুন মাস লেগে যাবে বলে জানালেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
 
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) পূর্বাচল প্রকল্প এলাকার অফিসে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।  
 
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রিণ স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বাসিন্দাদের সেবামূলক সকল সুযোগ-সুবিধা এখানে নিশ্চিত করা হবে। এজন্য অন্য কোনো সংস্থার ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। আগামী তিন বছরের মধ্যে এখানে কমপক্ষে ৪০ ভাগ বাসিন্দার আবাসনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। একটি প্রকল্প অনন্তকাল চলতে পারে না। এর শুরু যেমন হয়েছে, শেষ সময়ও জনগণকে জানাতে হবে।
 
তিনি বলেন, পূর্বাচলের বিদ্যুৎ লাইন হবে মাটির নিচ দিয়ে। এখানকার বর্জ্যব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সবই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে। আবাসিক জ্বালানির জন্য এলপি গ্যাসের ব্যবস্থা করা হবে। ২৫ হাজার ১৬টি আবাসিক প্লটের পাশাপাশি এখানে ৬০ হাজার আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ইকোফ্রেন্ডলি এ শহরে সবুজ চত্ত্বর, বাগান, বনাঞ্চলসহ পরিবেশসম্মত সকল সুযোগ সুবিধা রাখা হবে।
 
পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়, ছয় হাজার ২২৭ দশমিক ৩৬ একর জমির ওপর গড়ে তোলা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পটি ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয় ২০০৪ সালে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৮২ দশমিক ১৪ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে জরিপ, পরিকল্পনা, জমি অধিগ্রহণের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ভূমি উন্নয়নের কাজ ৮০ ভাগ, পূর্বাচল সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ ৬০ ভাগ, ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ ২৫ ভাগ, কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ, সার্ফেস ড্রেন ও ক্রস ড্রেনের কাজ  ৩৮ ভাগ, সেন্ট্রাল আইল্যান্ড নির্মাণের কাজ ২৫ ভাগ, সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ ৫০ ভাগ, ভেতরের রাস্তায় ৬১টি ব্রিজ নির্মাণের কাজ ৫০ভাগ, নদীর পাড় রক্ষার কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। ৪৭৭ দশমিক ২০ একর জমি নিয়ে ৪৩ কিলোমিটার লেক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
 
পর্যালোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফ-উর-রহমান, যুগ্মসচিব রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীর, রাউকের সদস্য (উন্নয়ন) আব্দুর রহমান, সদস্য (স্টেট) আব্দুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী, প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
পরে মন্ত্রী প্রকল্পে এলাকার লেক, ব্রিজ, সড়ক নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এসএম/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।