ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের সুপারিশ

ঢাকা: জমির স্বল্পতার প্রতি দৃষ্টি রেখে বহুতল ভবন নির্মাণ করে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
 
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।


 
সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ফারুক খান, দীপু মনি ও হোসনে আরা বেগম অংশ নেন। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও তিন বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কমিটির পক্ষ থেকে বলেছি, জমি অধিগ্রহণের সময় যেন চিন্তা-ভাবনা করে নেওয়া হয়। বহুতল ভবন নির্মাণ করলে জমির ব্যবহার বাড়ানো যায়।
 
এছাড়া ডিওএইচএস এলাকায় জমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে বসবাসকারীদের জমি/ফ্ল্যাট হস্তান্তরে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয় বলেও জানান সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা।
 
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর কমিটির বৈঠকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস এলাকার জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বমুখী ভবন নির্মাণের সুপারিশ করে কমিটি।
 
ওই বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীনে ৪৬ হাজার ৪১৪ একর জমি আছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে ৩৫ হাজার ৮৫৮ একর, নৌবাহিনীর কাছে এক হাজার ৩৮০ একর, বিমান বাহিনীর কাছে পাঁচ হাজার ৫১৯ একর উল্লেখযোগ্য।
 
বরিশালে ১০ একর জমিতে নির্মিত সেনাপল্লীর ১২০টি প্লট সেনাবাহিনীর সৈনিকদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৯ দশমিক ৬৮ একর জমিতে নির্মিত পটুয়াখালী সেনাপল্লীতে ১১৮টি প্লটের মধ্যে ৫০টি সৈনিকদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো বরাদ্দ দেওয়া প্রক্রিয়াধীন আছে।
 
এছাড়া কুমিল্লায় ৪৪ দশমিক ৪১ একর জমিতে নির্মিত সেনাপল্লীতে প্লট বরাদ্দে কাজ এখনো শুরু  হয়নি।
 
বৈঠকে আরও জানানো হয়, রাজবাড়ী জেলায় ৩ হাজার ৫৩৪ একর এবং বরিশাল ও পটুয়াখালীর মাঝামাঝি পায়রা নদী সংলগ্ন স্থানে এক হাজার ৫৭৬ একর জমিতে সেনানিবাস নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ও কক্সবাজারের রামুতে সেনানিবাস স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
 
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ধনী-গরিব, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।