ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যৌথ সীমান্ত সম্মেলনে ৭ ইস্যুতে সমঝোতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
যৌথ সীমান্ত সম্মেলনে ৭ ইস্যুতে সমঝোতা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) পর্যায়ে যৌথ সীমান্ত সম্মেলনে ৭ ইস্যুতে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের শহরতলী খাগডহর এলাকার হোটেল সিলভার ক্যাসেলে এ সমঝোতা স্বাক্ষর করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী এবং ভারতের ইস্ট খাসি হিলসের (শিলং) ডেপুটি কমিশনার আইএএস শ্রী পিএস ডেখর।



মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বাংলাদেশের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের এবং শ্রী পিএস ডেখর ভারতের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

এ সীমান্ত সম্মেলনে বর্ডার হাট স্থাপন, দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সীমান্তের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত, মাদক ও চোরাচালান, বন্দি প্রত্যাবর্তন, সীমান্ত পিলার সমস্যা, দু’দেশের মাঝে আন্তঃবাণিজ্য ও সংস্কৃতি-ক্রীড়া বিনিময় ইস্যুতে সমঝোতা স্বাক্ষর করেন দু’ দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধানরা।

গত বুধবার (০২ ডিসেম্বর) দু’দেশের যৌথ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। এতে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর, সিলেট, শেরপুর, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

আর ভারতের ৭ জেলা ইস্ট খাসি হিলস (শিলং), সাউথ ওয়েস্ট খাসি হিলস (মৌখিরাত), সাউথ গারো হিলস (বাঘমারা), ওয়েস্ট গারো হিলস (তোরা), ইস্ট জৈন্তিয়া হিলস (খালীহরিয়াত), ওয়েস্ট জৈন্তিয়া হিলস (জোয়াই) ও সাউথ ওয়েস্ট গারো হিলসে’র (আমপাতি) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসএফ’র প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ৭ টি ইস্যুতে দু’দেশের মাঝে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে। আমরা ৭ টি ইস্যুতে ঐক্যমতে পৌঁছে সমঝোতা স্বাক্ষর করেছি। দু’দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে।

তিনি বলেন, দু’দেশের মাঝে ৫ কিলোমিটার বর্ডার হাট রয়েছে। এটিকে ৮ কিলোমিটারে উন্নীত করতে দু’দেশের সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতের ইস্ট খাসি হিলস’র (শিলং) ডেপুটি কমিশনার আইএএস শ্রী পিএস ডেখর বলেন, সীমান্তে অপরাধ কমাতে দু’দেশই উদ্যোগ গ্রহণ করে সহাবস্থান বজায় রাখতে কাজ করে যাবে।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কোনো নিরীহ জনসাধারণ যাতে সীমান্ত হত্যার শিকার না হয় এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখবে।

স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি জানান, বছরে দু’বার বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) পর্যায়ে যৌথ সীমান্ত সম্মেলন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।