ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংস্কৃতিক বিকাশ হলে মানুষ ভালো-মন্দের বিচার করতে পারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৫
সাংস্কৃতিক বিকাশ হলে মানুষ ভালো-মন্দের বিচার করতে পারে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, হৃদয় ফুলের বাগান না হলে মানুষ ইতিবাচক চিন্তা করতে পারে না। আলোকিত হৃদয় অন্ধকার দূর করে।

সাংস্কৃতিক বিকাশ হলে মানুষ মুক্তবুদ্ধির অধিকারী হয়ে ভালো-মন্দের বিচার করতে পারে।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর শেরেবাংলা রোডে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমী কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। এটি মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত ও যুক্তিনির্ভর করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের হাতে অর্থ থাকায় তারা এখন প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে পারে। বাংলাদেশ এখনো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হলেও অচিরেই এটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অপসংস্কৃতির ধারক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কিছু মানুষের বদ্ধ মানসিকতা সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই সামাজিক নৈরাজ্য দূর করা সম্ভব।

পিতা-মাতাদের শুধুমাত্র গতানুগতিক শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ না করে শিশুদের সৃজনশীল চেতনার অধিকারী হওয়ার জন্য মতামত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করতে বলেন মন্ত্রী। তাদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করা এবং খোলামেলা পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টির ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

নান্দনিক পরিবেশের বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিল্পকলা একাডেমীর ভরাট হওয়া জলাশয়টিকে সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস, গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জি এম এম কামাল পাশা।   সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল।   স্বাগত বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিন্টু।

৮১ শতাংশ জমিতে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমী কমপ্লেক্স। প্রথম পর্যায়ে ছয়তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্সের চারতলা নির্মিত হবে। এর অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে পুকুরের পানির মধ্যে ভাসমান মুক্তমঞ্চ। এতে থাকছে ৫শ’ আসন বিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল অডিটোরিয়াম, সুদৃশ্য বিশাল লবি, দোতলায় আর্ট গ্যালারি এবং ক্যান্টিন। এছাড়াও থাকবে প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ ভবন, হলরুমসহ বিভিন্ন কক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।