ঢাকা: শেষ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা থেকে মিললো ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরবের নিথর দেহ। ম্যানহোলে পড়ার দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর উদ্ধারের পরপরই তাকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পরপরই তার ইসিজি করা হয়। ইসিজি রিপোর্টের ভিত্তিতে রাত নয়টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে রাত ৮টা ২০ মিনিটে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরবকে। উদ্ধারের পরপরই তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে বের হয়ে গেছে তার প্রাণবায়ু।
মঙ্গলবার (ডিসেম্বর ০৮) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় ম্যানহোলের খোলা গর্ত দিয়ে সুয়ারেজ লাইনে পড়ে যায় ৫ বছরের শিশু সাইফুল ইসলাম নীরব। রাজধানীর শ্যামপুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় নীরবদের বাসা। তার পিতার নাম মো. রেজাউল। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।
শিশুটি ম্যানহোলে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় নামে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার অচেতন দেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বাংলানিউজকে বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এনএ/এজেডএস/আরআই
** শিশু নীরবকে মৃত ঘোষণা চিকিৎসকের
** ‘খোলা ম্যানহোলের ঢাকনা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে’
** ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরব ঢামেকে
** ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরব উদ্ধার বুড়িগঙ্গায়
** এখনও খোঁজ নেই শিশু নীরবের, উদ্ধার কাজ চলছে
** শ্যামপুরে ম্যানহোলে পড়ে শিশু নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার কাজ