ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘লেখ, এদের পিতার নাম শেখ মুজিব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫
‘লেখ, এদের পিতার নাম শেখ মুজিব’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক নির্যাতিতা নারীর বিয়ের সময় তাদের কাবিননামায় পিতার নাম লেখার সময় জাতির পিতা বলেছিলেন, লেখ, এদের পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।

বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



তিনি বলেন, লাখো নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ৭১’এ আমাদের মা-বোনদের তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেক নারী শাড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তাদের শাড়ি পড়তে দেওয়া হতো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশ বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সফল হয়েছে। আজ নারীরা তাদের অবস্থান করে নিতে পেরেছে। যা ছিল বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন। সে সময় এমন অবস্থা ছিল কোনো নারী পড়া-লেখা করছে এটা জানা-জানি হলে বাবা-মাকে পর্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন হতে হতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন। সব সময় তিনি একটি কথা বলতেন, ‘একটা মেয়ে যখন টাকা আয় করে বাড়িতে ফেরে তখন তার কথার একটা দাম থাকে’। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। এ কাজে তাকে নেপথ্যে থেকে সর্বাঙ্গীন সহায়তা করেন আমার মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন। চাকরির ক্ষেত্রে তিনি মেয়েদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করেছিলেন।

সেই ধারাবাহিকতায় সরকার বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আওতাধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৪২৮টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নারীর ক্ষমতায়ণ ও উন্নয়নে আমার সরকারের ব্যাপক কার্যক্রমের সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জীবনের শেষ দিকে সাখাওয়াত হোসেন দৃষ্টি শক্তি হারান। কিন্তু তার অন্তর দৃষ্টিতে রোকেয়ার জ্ঞান আহরণ স্পৃহা ও নারী মুক্তির গান দাগ কেটে যায়। মৃত্যুর আগে রোকেয়াকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে যান। সেই টাকায় স্বামীর জন্মস্থান বিহারের ভাগলপুরে ৫ জন ছাত্রী নিয়ে ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। নারীর অগ্রগতির লড়াইয়ে সময় দেওয়ায় নিজের মেট্রিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমার মেট্টিক পরীক্ষা কেয়ামতের পরদিন দেয়া হইবে’। তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত।

নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো-এটাই হোক রোকেয়া দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫/আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা
এটি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।