ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আবাদের আওতায় আসছে ২৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫
আবাদের আওতায় আসছে ২৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেটে শস্যের নিবিড়তা কম।

এ অঞ্চলের অধিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন প্রবাসে। তাদের মালিকানা জমিও বছরের পর বছর থাকে অনাবাদি।

বাড়ি বিলাসে প্রবাসীদের বিনিয়োগ থাকলেও নেই কৃষি ও শিল্পখাতে। ফলে রবিশস্যের ফলন বৃদ্ধির আওতায় বিভাগের ২৫ হাজার ১৯৬ হেক্টর পতিত জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগে নিয়েছে সরকার।

এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের অনাবাদি কৃষি জমিগুলো আবাদযোগ্য করা হচ্ছে। পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভাগের ৩৯টি উপজেলায় কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

প্রাথমিক পর্যায়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভাগের অর্ধলক্ষাধিক কৃষকের উপকার হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে, সিলেট অঞ্চলের আবাদযোগ্য মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩ হাজার ৮৪১ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ৩১৩ হেক্টর, হবিগঞ্জে ১ হাজার ৮১১ হেক্টর ও সুনামগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ২৩১ হেক্টর পতিত জমি এবার চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে।

এবারের রবি মৌসুম থেকে মালিকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এসব পতিত জমি চাষাবাদ করা হবে। এতে লাভবান হবেন চাষিরা।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সিলেটের উপ-পরিচালক ড. মো. মামুন উর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের চার জেলার ৩৯ উপজেলা থেকে একটি করে ইউনিয়ন নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নগুলোতে যেসব জমি পতিত আছে, সেসব জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিভাগের ৩৯টি ইউনিয়নের ২৫ হাজার ১৯৬ হেক্টর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এসব জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসলে বিভাগের ৫৫ হাজার ৭৬০ জন চাষি উপকৃত হবেন।
তাদের মধ্যে সিলেটে ২৭ হাজার ৪৫৫ জন, মৌলভীবাজারে ৯ হাজার ৯৮১ জন, হবিগঞ্জের ৩ হাজার ১২৭ জন এবং সুনামগঞ্জের ১৫ হাজার ১৯৭ জন চাষি রয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশে থাকা অনেক জমির মালিকরা স্বজনদের দেখাশোনা করার জমি দিয়ে গেলে তা দখল হয়ে যায়। এমন ঘটনা সিলেটে অহরহ। তাছাড়া জমি বর্গা দিলেও ফসল পান না। এই শঙ্কায় অনেকে জমি অনাবাদি ফেলে রাখেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ৫ হেক্টর জমির মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, দেশে না থাকার সুবাদে জমি বর্গা দিলেও ফসল ঘরে আসেনা। বর্গা চাষিরা একেক অজুহাত দেখিয়ে জমির ফসল হাতিয়ে নেন। তার ওপর জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার ফেলে রাখাই শ্রেয় মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।