সিলেট: সিলেটে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা, যত্রতত্র গাড়ি রিকুজিশন বন্ধ, চালকদের মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউনিয়নের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রকিব উদ্দিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসন কোনো সুরাহা না করলে মহাসমাবেশের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমানে সিলেটে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস পরিচালনার সঙ্গে ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। পরোক্ষভাবে এর সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। এসব শ্রমিকদের শ্রমের টাকায় দেশের অর্থনীতি সচল রাখা হয়। শুধুমাত্র সিলেট মহানগরীতেই রয়েছে ১৮টি উপ-কমিটি। এসব উপ-কমিটির অধীনে টার্মিনাল ছাড়াও মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড রয়েছে।
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে গাড়ি দিয়ে সহযোগিতা করি আমরা। প্রতিদিন ২০টি গাড়ি শুধু পুলিশই রিকুজিশন করে। রিকুজিশন করা গাড়ির জ্বালানি খরচ ও চালকের খাবার সরবরাহের আইনি বিধান থাকলেও সিলেটে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হয় না। বরং চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অভুক্ত রেখে চালককে দিয়েই জ্বালানি খরচ বহন করানো হয়।
অন্যদিকে নির্ধারিত কোনো মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার পাশে খালি জায়গায় গাড়ি রেখে স্ট্যান্ড পরিচালনা করতে হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনও মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। অথচ সম্প্রতি ৩৫ বছরের পুরনো চৌহাট্টা স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ড উচ্ছেদে নেমেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ৬ দফা দাবির অন্যগুলো হচ্ছে- রিকুজিশনকৃত গাড়ির ব্যয় ও চালকদের খরচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে, যে সব অসাধু ট্রাফিক পুলিশ কারণে-অকারণে মামলা দিয়ে চালকদের হয়রানি করেন তাদের অপসারণ ও সেতুর অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক, জেলা কার্যকরী সভাপতি তেরা মিয়া, সহ-সভাপতি নুর মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫ আপডেট সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা.
এনইউ/এএএন/এটি