ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দিতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দিতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতবিরোধী অপরাধের দায়ে যাদের বিচার হচ্ছে এবং যাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দিতে হবে। ’

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) রাজশাহী জেলা, মহনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



মুনতাসির মামুন বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের লড়াই হবে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ে রাজনীতিবিদরা পাশে না দাঁড়ালেও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ’

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর ভূবন মোহন পার্কে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল এবং শহীদ পরিবারের সন্তান শাহীনা বেগম।

সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন বলেন, ৭৫’র পর থেকে এই ৪০ বছর বিএনপি-জামায়াত ও জতীয় পার্টির নেতারা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ওপর ব্যবসা করে বিত্ত-বৈভব বাড়িয়েছে। জমি দখল করেছে, দোকান লুট করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আজকে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা না হলে একদিন তাদের উত্তরাধিকারীরা শহীদ পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে ভিত্তি করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের দেখানো পথে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হবে।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘জাগো, জাগাও, ঐক্যবদ্ধ হও, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ কর’।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি ভাষা সৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান, ঘাদানিকের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সভাপতি তাজুল ইসলাম, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫ আপডেট সময়: ১৯১২ ঘণ্টা.
এসএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।