ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুদকে সম্পদের হিসাব দাখিল করলেন নূর হোসেন

আদিত্য আরাফাত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
দুদকে সম্পদের হিসাব দাখিল করলেন নূর হোসেন

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন।
 
কারা কর্তৃপক্ষ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালের মাধ্যমে নূর হোসেনের সম্পদ বিবরণী পেশ করেন।

রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।

সূত্রটি জানায়, দুদকে পেশ হওয়া সম্পদ বিবরণীতে নূর হোসেন ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। ক্রয়মূল্য অনুযায়ী তিনি সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। দুদক এখন তার এ হিসাব যাছাই-বাছাই করে দেখবে। সম্পদের কোনো তথ্য গোপন বা এর বাইরে সম্পদ পেলে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় সূত্রটি।

ট্রাকচালক সহকারী থেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিশাল সম্পদ গড়ার অভিযোগ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের এপ্রিলের নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে হত্যার পর নূর হোসেন পালিয়ে গেলে ২৯ মে তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছিল।

গত ১২ নভেম্বর ভারত থেকে দেশে আনা হয় নূর হোসেনকে। এরপর দুদকের এ অনুসন্ধান কার্যক্রমেও গতি আসে। ১৭ নভেম্বর গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-২ এ সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

দুদক সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত এই কাউন্সিলর জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। পরে তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। এরপর মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর নূর হোসেন দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হওয়ার পাশাপাশি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিও ছিলেন নূর হোসেন।

বিভিন্ন থানার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শীতলক্ষ্যার তীরে বালু-পাথরের ব্যবসা গড়ে তোলায় নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করে বিআইডব্লিউটিএ। সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া ও নদীতীরের প্রায় ৮০০ শতাংশ জমি দখলেরও অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

ওই জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে আট-দশবার অভিযান চালানো হলেও নূর হোসেন ও তার সমর্থকদের বাধার মুখে সেসব চেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি।

নূর হোসেনের নেতৃত্বে শিমরাইল-কাঁচপুরে বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ সিটি করপোরেশন ট্রাক টার্মিনালে মেলার নামে জুয়ার আসর বসানো ও মাদক বিক্রির অভিযোগও ছিলো তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫/আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা
এডিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।