ঢাকা: ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন-২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ। এতে সংশ্লিষ্ট একটি অধিদফতরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ১৯৫০ সালে একটি আইনের আলোকে এটি চলছিলো। বিএনসিসি নামে ৭৯ থেকে চলে আসছে। এটি ছাত্রদের নিয়ে এক ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, একটি অধিদফতর গঠনের প্রস্তাব হয়েছে আইনে। দায়িত্ব, কর্তব্য ও শৃঙ্খলা সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়া অধিদফতর কীভাবে হবে, মহাপরিচালক ও অন্য কর্মকর্তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে একটি। শৃঙ্খলা কমিটিও থাকবে।
এর উদ্দেশ্য ধরা হয়েছে- বাংলাদেশের বর্তমান ক্যাডেট কোর রয়েছে, তাকে আরও সুবিন্যস্ত করতে এ আইন- বলেন তিনি।
সচিব বলেন, কোনো কর্মকর্তা বা ক্যাডেট, কর্মচারী আইন ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে ধারা ১৭-তে রয়েছে, ৬টি ধাপে ব্যবস্থার কথা রয়েছে। কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করলে বাহিনী বা ইউনিটের অধীনে শাস্তি পাবেন। কোরের ক্যাডেটরা আইনবিরোধী কাজ করলে অধিদফতরের অধীনে ব্যবস্থা হবে। বেসামরিক কর্মকর্তারা আইন ভাঙলেও প্রযোজ্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অধিদফতরের কাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন, অধিদফতরের সদর দফতর ঢাকায় থাকবে। সরকারের অনুমতিতে প্রয়োজনে একাধিক শাখা রাখা যাবে বাইরে। জনপ্রশাসন, অর্থমন্ত্রণালয়, সচিব কমিটির পরামর্শে হবে জনবল নিয়োগ। কতজন নিয়োগ পাবেন, সেসব সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়, পরে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এসকেএস/এসএস