ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুনারুঘাটে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে জুতা মিছিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
চুনারুঘাটে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে জুতা মিছিল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ী মেয়রের পক্ষে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশহুদুল কবীরের অপসারণ দাবিতে জুতা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের পরাজিত মেয়র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা।

রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে চুনারুঘাট পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ গেটের কাছে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।



স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রুবেল বিএনপির বিজয়ী মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছুর কাছে ১৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ পরাজয়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মাশহুদুল কবীর বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সামছুর পক্ষে ভোট কারচুপি করেছেন।

তিনি (ইউএনও) হাজী ইয়াসিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ডা. সঞ্জীব সুত্রধরের মাধ্যমে বিএনপি মনোনীত নাজিম উদ্দিন সামছুর পক্ষে ভোট চুরি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুল আলম রুবেলকে মাত্র ১৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করান।

এ অভিযোগ এনে দুপুরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলার প্রধান সড়কে জড়ো হয়ে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে জুতা মিছিল শুরু করেন। নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

পরে তারা ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ ও র্যাবের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় পুলিশ, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ মাস্টার, আনিসুর রহমান, আ. কুদ্দুছ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সামাদ, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ইফতেখার আলম রিপন, বিলাল আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনওর অপসারণ দাবি করেন। অন্যথায় সোমবার (৪ জানুয়ারি) থেকে আরও কঠিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আওয়ামী লীগের ‌ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সময় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমূল্য কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশহুদুল কবীর বলেন, ভোট কারচুপি হলে তারা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। তা না করে ছাত্রলীগের ছেলেদের দিয়ে মিছিল করিয়ে আমাকে বেআইনিভাবে অপসারণ করতে চাইছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।