ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রণজিত দাসের ৮৫তম জন্মদিন শনিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
 ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রণজিত দাসের ৮৫তম জন্মদিন শনিবার

সিলেট: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সিলেটের প্রবীণ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রণজিত দাসের ৮৫তম জন্মদিন শনিবার (২৯ অক্টোবর)। এবার সাড়ম্বরে তার জন্মদিন উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ফুটবলার রণজিত দাস জন্মদিন উদযাপন পর্ষদ।

এ উপলক্ষে নগরীর রিকবীবাজার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে কেক কাটা, আলোচনা সভা, প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন, ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান সফল করে তুলতে সব মহলের উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করছেন জন্মদিন উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুপ্রিয় চক্রবর্তী রঞ্জু ও সদস্য সচিব আব্দুর রশিদ রেনু।

সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে ১৯৩১ সালের ২৯ অক্টোবর জন্ম নেওয়া ছোট ছেলেটি একদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে নন্দিত এ ফুটবল তারকা বাবা কমলকান্তের প্রেরণায় ১৯৪৯ সালে দি এইডেড হাইস্কুলে পড়ার সময়ই খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন।

১৯৫০ সালে স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবে খেলার মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে তার অভিষেক। ১৯৫২-৫৩ সালে খেলেন মার্চেন্ট ক্লাবে। ১৯৫৪ সালে টাউন ক্লাবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৫ সালে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবে খেলার মাধ্যমে ঢাকার মাঠে অভিষেক হয় তার। সে বছরই পূর্ব পাকিস্তান দলে খেলার সুযোগ পান।

পূর্ব পাকিস্তান দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৬ সালে করাচিতে, ১৯৫৭ সালে ঢাকায় (টিম রানার্স আপ), ১৯৫৮ সালে মুলতানে, ১৯৫৯ সালে হায়দরাবাদে (টিম রানার্সআপ), ১৯৬০ সালে করাচিতে (প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন) অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ফুটবল লিগে অংশ নেন। এছাড়া চট্টগ্রাম ডিভিশন টিমের হয়ে কায়েদে আযম ট্রফিতে খেলেন ১৯৬১ থেকে ৬৪ সাল পর্যন্ত। তার মধ্যে ১৯৬২-৬৩ সালে টানা তিনবছর দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। প্রতিবারই ফাইনালে খেলে তার দল।

রণজিত দাস শুধু ফুটবল খেলতেন না, খেলতেন হকিও। ২০০৭ সালে ফুটবলে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত রণজিত দাস একাধারে ফুটবল ও হকির গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। ১৯৬৪ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (বর্তমান সোনালী ব্যাংক) হয়ে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল লিগে খেলেন এবং তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়।

একই বছর ইস্ট পাকিস্তান হকি দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। খেলেন একাধারে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত। ১৯৬৭-৬৮ সালের মেক্সিকো অলিম্পিকের জন্য গঠিত প্রাথমিক দলে ছিলেন রণজিত দাস।

চার কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক রণজিত দাস এখনো ফুটবলের টানে ছুটে যান মাঠে। সিলেট স্টেডিয়ামে কোনো প্রতিযোগিতামূলক খেলা হলেই তিনি হাজির হয়ে যান। হয়তো যতদিন সুস্থ থাকবেন ততদিন ছুটে যাবেন মাঠে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।