ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পিরোজপুরে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
পিরোজপুরে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

পিরোজপুর: পিরোজপুরে আট বছরের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে হত্যার দায়ে  তার বাবা মহারাজ হাওলাদারকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।  পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন।

মহারাজের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মহারাজ তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। এরপর প্রথম পক্ষের মেয়ে জেসমিন মহারাজের কাছেই থাকতো। মহারাজ মেয়ের নামে এক লাখ ২০ হাজার টাকার একটি বীমা করেন। বীমার কিস্তি হিসেবে একবারই এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। বীমার টাকার জন্য ২০০৫ সালের ৪ মে রাতে জেসমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেন। এরপর পানিতে ডুবে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন তিনি। এ ব্যাপারে সন্দেহ হওয়ায় শিশুটির মামা আব্দুস সালাম থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জেসমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মহারাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৬ সালের ১৪ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারেজ তালুকদার তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার এ রায় দেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬/আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।