ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নদী রক্ষায় আ’লীগ ছাড়া কেউ একটি ড্রেজারও কেনেনি

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
নদী রক্ষায় আ’লীগ ছাড়া কেউ একটি ড্রেজারও কেনেনি ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নদী রক্ষায় বর্তমান সরকার  বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গঠন করা হয়েছে নদী রক্ষা কমিশন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার একটি ড্রেজারও কেনেনি।  

রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত বিআইডব্লিউটিসি’র কন্টেইনার ভেসেল ‘এমভি উত্তরণ এক্সপ্রেস’র লঞ্চিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, মংলা বন্দরে বিএনপি’র শাসনামলে সাড়ে ১১ কোটি টাকা লোকসান হয়। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে লোকসান কাটিয়ে গত বছর মংলা বন্দর লাভ করেছে ৬৫ কোটি টাকা। সেখানে নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে নদী খননের ফলে এখন বড় বড় জাহাজ আসছে। বর্তমানে ১১০টি জাহাজ চলাচল করছে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে। সরকারের সময়োচিত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মাওয়াসহ দেশের ফেরিঘাট ও ফেরিগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে, যার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে। দেশের যেসব জায়গায় ফেরি স্থাপন করলে জনগণের সুবিধা হবে সেখানে ফেরি স্থাপনের কথা ভাবছে সরকার।  

তিনি বলেন, একাত্তর সালে দেশের জনগণক এবং ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা পাপী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই খুনিদের বিচার করে পাপ মোচন করেছেন। এজন্যই দেশে এখন উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে, বিদ্যুতের ঘাটতি কাটিয়ে দেশে এখন ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন রাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা স্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই এদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।  

তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, শিপইয়ার্ডের নিজস্ব ড্রেজার না থাকলে খুলনায়ও জাহাজ আসতো না।  

মন্ত্রী আগামীতে বিআইডব্লিউটিসি’র ফেরিসহ অন্য কাজ শিপইয়ার্ডের মাধ্যমে করানোর ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (এম) রিয়ার এডমিরাল এস এ এম এ আবেদীন। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর কে কামরুল হাসান। এসময় ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লি. এর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাজটির মৌলিক বৈশিষ্ট হচ্ছে- দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার, প্রস্থ ১৫ মিটার, গভীরতা সাত মিটার, ড্রাফট ৩.৮০ মিটার, ধারণ ক্ষমতা ১৫৮ টিইইউ কন্টেইনার, গতি ১০ নট, ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিটাস, গ্রস টনেজ দুই হাজার তিনশ ৫৫ টন এবং ডিসপে¬সমেন্ট তিন হাজার ৫শ ৭০ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিআইডবি¬উটিসি’র জন্য নির্মিতব্য ২টি জাহাজ নির্মাণ কাজের দায়িত্বভার খুশিলি’র নিকট হস্তান্তর করা হয়। কন্টেননার জাহাজ ২টি দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-মংলা এবং চট্টগ্রাম-মংলা নৌ-রুটে চলাচল করবে। একইসঙ্গে জাহাজ ২টি দেশের উপকূলীয় সমুদ্র পথ অর্থাৎ আন্তঃদেশীয় (ভারত, মায়ানমার ইত্যাদি) নৌ রুটেও চলাচল করবে। ফলে জাহাজ ২টি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
এমআরএম/এসএনএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।