ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সেনানিবাসে নতুন পাসপোর্ট অফিস, হচ্ছে আরও ৩টি

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
সেনানিবাসে নতুন পাসপোর্ট অফিস, হচ্ছে আরও ৩টি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসের ওপর চাপ কমিয়ে সেবার মান বাড়াতে ঢাকার ভেতরেই আরও চারটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চালু করছে সরকার। এগুলোর মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে নতুন পাসপোর্ট অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবারই (১ ডিসেম্বর) সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

ঢাকা: আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসের ওপর চাপ কমিয়ে সেবার মান বাড়াতে ঢাকার ভেতরেই আরও চারটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চালু করছে সরকার। এগুলোর মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে নতুন পাসপোর্ট অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই (১ ডিসেম্বর) সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় এ নতুন পাসপোর্ট অফিসের উদ্বোধন করবেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। এই অফিস চালু হলে সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকা সেনানিবাসে বসেই পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল কাজ সারতে পারবেন।

একইভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের ভেতরে নির্মাণ হতে চলেছে আরেকটি পাসপোর্ট অফিস। এছাড়া ঢাকার পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য আলাদা দু’টি পাসপোর্ট ভবন নির্মাণ হতে চলেছে। পশ্চিমাঞ্চলের জন্য সাভারের আমিন বাজারে এবং পূর্বাঞ্চলের জন্য মহানগরীর বনশ্রীতে স্থান নির্ধারণও করা হয়েছে। এ দু’টি স্থানে আপাতত ভাড়া করা বাড়িতেই অফিস স্থাপন করবে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।  

এদিকে, সেনানিবাসে নতুন পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সশস্ত্র বাহিনী সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, পাসপোর্ট অফিসটি নির্মাণে সেনানিবাসের পক্ষ থেকে জায়গা ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

এই কার্যালয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চার জন, নৌ এবং বিমান বাহিনীর দুই জন করে কর্মকর্তা কাজ করবেন।

আগারগাঁও অফিসের ওপর চাপ কমাতে এর আগে ঢাকার উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে পাসপোর্ট অফিসের দু’টি আঞ্চলিক কার্যালয় চালু করা হয়।

অন্যদিকে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান বাড়াতে কার্যালয়টিকে আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়কে নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। আর বর্তমান প্রধান কার্যালয়টিকে পুরোপুরিভাবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। এর ফলে সেবার মান আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাংলানিউজকে বলেন, ছোট্ট এই স্থানে প্রতিদিন ৮-১০ হাজার লোক সেবা নিতে আসেন। যা আগারগাঁওয়ের আঞ্চলিক অফিসটির জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়। সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয় নির্মাণের জন্য আগারগাঁওয়েই প্রায় দুই বিঘার মত জমি দিয়েছে। সেখানে ভবন নির্মাণের পরে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তরিত হলে বর্তমান ব্যবহৃত ভবনটি আঞ্চলিক অফিসের জন্য ছেড়ে দেওয়া হেবে। এতে জনগণকে সেবা দেওয়া সহজ হবে।

তিনি বলেন, ঢাকায় সবগুলো আঞ্চলিক অফিস নির্মাণ শেষ হলে আগারগাঁও অফিসের ওপর চাপ কমে যাবে। ফলে পাসপোর্ট সেবা আরও সহজ ও সাবলীল হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
জেপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।