ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্ঘটনায় চালকের পাশাপাশি পথচারীও দায়ী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
দুর্ঘটনায় চালকের পাশাপাশি পথচারীও দায়ী ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু বেপরোয়া চালক নন, পথচারীরাও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পথচারীদের অসচেতনতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু বেপরোয়া চালক নন, পথচারীরাও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পথচারীদের অসচেতনতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ২৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ভাইস চেয়ারম্যান রোটারিয়ান সৈয়দ এহসানুল হক কামালের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান ও অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের গাড়ির ড্রাইভার ও পথচারী উভয়ের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ড্রাইভারদের মতো পথচারীরাও বেপরোয়া। তারা চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে দল বেঁধে রাস্তা পার হয়ে যায়। কেউই ট্রাফিক আইন মানতে চায় না। আর এদের কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ড্রাইভারদের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেই তারা ফ্রিস্টাইলে গাড়ি চালাতে শুরু করেন। নিজেদের পথের রাজা ভাবেন। রাস্তার দুর্ঘটনার কথা একবারের জন্যও তারা ভাবেন না।

শীতকালে কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয় সে কথা মনে করিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সময় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এ বিষয়ে গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সড়ক দুর্ঘটনা নির্মূল করতে হলে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ব্যক্তিগত গাড়ির অ্যাপস উবার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আধুনিকতাকে আমাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এখানে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। উবার একটা সিস্টেমে আটকে আছে। নতুন প্রযুক্তি। লেটেস্ট প্রযুক্তি, ঠিক আছে, একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। আমি বিআরটিএকে বলেছি এটাকে ঘৃণা না করে, এটাকে প্রত্যাখ্যান না করে, এটাকে কিভাবে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে গণপরিবহনের সংকট দূরীভূত করা যায় তা দেখতে।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, যখন একটা নতুন উদ্ভাবনী আমাদের কাছে আসছে তখন তাকে স্বাগত জানানো উচিত। এটা নিয়ে বিআরাটিএর যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছিল, আমি তা বন্ধ করে দিয়েছি। এটাকে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছি। এটা বন্ধ করে দেবেন না, তাহলে আমাদের গণপরিবহনের সংকট দেখা দেবে।

তিনি বলেন, আমরা বলছি ডিজিটাল বাংলাদেশ। আবার ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন প্রযুক্তি এলে যদি নিরুৎসাহিত করি তাহলে এটা দ্বিচারিতা। এটা স্ববিরোধী। ইতিমধ্যে বিআরটিএ একদফা বৈঠক করেছে। এ ব্যাপারে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সমাধান হবে। আর আমি সেটাই চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬/আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা
জেপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।