ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগামী সপ্তাহেই রিভিউ, নতুন ভবনের জমিও চাচ্ছে বিজিএমইএ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
আগামী সপ্তাহেই রিভিউ, নতুন ভবনের জমিও চাচ্ছে বিজিএমইএ

নিজস্ব ভবন না ভাঙতে শেষ আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এজন্য চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম সাতদিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি।

ঢাকা: নিজস্ব ভবন না ভাঙতে শেষ আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এজন্য চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম সাতদিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি।

 

অন্যদিকে নতুন ভবন তৈরি করতে সরকারের কাছে উত্তরায় নয় কাঠার জায়গা চাচ্ছে বিজিএমইএ।

রিভিউয়ের বিষয়ে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত ০৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আইন অনুসারে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের একমাসের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হয়। রিভিউ আবেদন ইস্যুতে একাধিবার বৈঠক করেছে বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ’।

‘পরিচালনা পর্ষদের সবার সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ০১ থেকে ০৭ ডিসেম্বরের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা হবে’।
 
বিজিএমইএ’র সভাপতিসহ বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে আইনগত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন বলেও জানিয়েছে বিজিএমইএ সূত্র।
 
তবে বিজিএমইএ’র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের রিভিউ আবেদন বিজিএমইএ করবে কি-না, তা আমি এখনো জানি না। এ বিষয়ে আমার সঙ্গে তাদের কোনো কথা হয়নি। রিভিউ হলে অবশ্যই জানতে পারবেন’।
 
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
 
অন্যদিকে নতুন ভবনের জন্য সরকারের কাছে জমি পাওয়ার বিষয়টিও মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে আছে বলে জানান পরিচালনা পর্ষদের অন্য এক সদস্য।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘উত্তরা নয় নম্বর সেক্টরের একটি প্লট আমরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারের কাছে চেয়েছি। এ বিষয়ে সরকারও ইতিবাচক। তবে এখনো চূড়ান্ত কথা হয়নি। চূড়ান্তভাবে জায়গাটি পেলেই আমরা নতুন ভবনের কাজ শুরু করবো’।
 
স্বপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এক রুলের রায়ে ২০১১ সালের ০৩ এপ্রিল আইন লঙ্ঘন করে গড়ে ওঠা ১৮তলার বিজিএমইএ ভবনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের জমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে এনে জনকল্যাণে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেন, হাতিরঝিল প্রকল্প একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাট বা অংশ বিক্রি করেছে তাদের টাকা ফেরত দিতেও বলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের ওই রায় বহাল রেখে ও বিজিএমইএ’র আপিল খারিজ করে গত ০২ জুন চূড়ান্ত রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ। ০৮ নভেম্বর প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে নিজ খরচে অবিলম্বে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে বিজিএমইএকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। তারা ব্যর্থ হলে ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে দিতে রাজউককে বলেছেন।

সোনারগাঁও হোটেলের পাশে রেলওয়ের জন্য ১৯৬০ সালে সরকারের অধিগ্রহণ করা প্রায় ৬ দশমিক ২১ একর জমিটি ১৯৯৮ সালে কেবলমাত্র একটি স্মারকের মাধ্যমে বিজিএমইএকে দেয় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। ১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ০৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবনের উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে বিজিএমইএ তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ভবনটি ব্যবহার করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
ইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।