ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বড়পুকুরিয়ায় নির্মাণাধীন তাপবিদুৎ কেন্দ্রে ধর্মঘট চলছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
বড়পুকুরিয়ায় নির্মাণাধীন তাপবিদুৎ কেন্দ্রে ধর্মঘট চলছে

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণাধীন তৃতীয় ইউনিটের শ্রমিকরা বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন।

দিনাজপুর: দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণাধীন তৃতীয় ইউনিটের শ্রমিকরা বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শ্রমিকরা এ ধর্মঘট শুরু করেন।

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত, তাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন করায়, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজের জন্য, ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১৫শ’ শ্রমিক প্রতিদিন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা হাজিরা চুক্তিতে কাজ করছেন, এ কাজ করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। অথচ একই কাজ করে চীনা শ্রমিকেরা তাদের থেকে ২০ গুণ বেশি বেতন পাচ্ছেন।

তাদের অভিযোগ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনা হারজিং মেশিনারি কোম্পানির কাছ থেকে শ্রমিকের জন্য বেশি বেতন নিয়ে জনবল সরবরাহকারী দেশিয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কম দরে শ্রমিক নিয়োগ করেছে। কোন শ্রমিক তাদের এই অনৈতিক কাজে প্রতিবাদ করলে, তাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। তাদের কোন সুযোগ সুবিধা নেই। এ জন্য শ্রমিকেরা আন্দোলন করলেও, কেউ তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না।

শ্রমিকরা আরো জানায়, পত্রিকায় তাদের নাম প্রকাশ করা হলে, পত্রিকা পড়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক, চৌধুরী মো. নুরুজ্জানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ঠিকাদারী চীনা কোম্পানি ও তাদের জনবল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। কর্মরত শ্রমিকরা সবাই অস্থায়ী ও তৃতীয় পক্ষের অধীনে।

জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, মেসাস জহির ট্রেডার্স-এর ব্যবসায়ী সহযোগী লুৎফর রহমান বলেন, শ্রমিকদের চাকরি দেওয়ার সময়, তাদের সঙ্গে চুক্তি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের চুক্তি অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে।

এদিকে শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, জনবল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো, কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই করছে আর শ্রমিক নিয়োগের নামে, শ্রমিকদের কাছ থেকে জামানত বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।