ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে দেশ ভরে যাচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
অশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে দেশ ভরে যাচ্ছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যেখানে-সেখানে নাম সর্বস্ব বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ত‍ুলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারেরও কোনো নজরদারি নেই।

ঢাকা: যেখানে-সেখানে নাম সর্বস্ব বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ত‍ুলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারেরও কোনো নজরদারি নেই।

ফলে অশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে দেশ ভরে যাচ্ছে।

ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) এর প্রেসিডেন্ট কবির আহমেদ ভূঁইয়া রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার (০২ ‍ডিসেম্বর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি ‘ডাটা সেন্টার টেকনোলজিস সামিট অ্যান্ড গ্রিন ডাটা সেন্টার কনফারেন্স-২০১৬’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।

কবির আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার সাইন্স পড়ানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কতটুকু দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে, তা নিয়ে কারো খেয়াল নেই। বিষয়টি সরকারও দেখছে না। এমন অবস্থা, যে বাংলাদেশে এখন আর কোনো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি ছাড়া নেই। কেননা, যেখানে সেখানে নাম সর্বস্ব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা সেখানে যাচ্ছেন, আর টাকা দিয়ে বিএসসি’র সার্টিফিকেট পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এখন বেসরকারিভাবে পলিটেকনিক্যাল কলেজও গড়ে উঠেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কোনো মান নেই। এসব থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিচ্ছেন। কাজেই কোনো কোয়ালিটি প্রোডাক্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসছে না। দেশটা অশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ভরে যাচ্ছে। আর আমরা এই ধরণের ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করছি।

ডাটা সেন্টারের বিষয়ে কবির আহমেদ বলেন, একটা সময় কাগজ থাকবে না। তখন সব কাজ হবে কাগজবিহীন ডাটা নির্ভর। এজন্য ডাটা সেন্টারের গুরুত্ব অনেক। তাই এর সিকিউরিটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া গড়ে তুলতে হবে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারও।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইইবি’র সেক্রেটারি আব্দুস সবুর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। ডাটা সেন্টারের যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। এর ফলে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি আয় করবে। দেশ এগিয়ে যাবে। তবে ডাটা সেন্টারের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দরকার। সরকার সে নিয়েও কাজ করছে।

‘ডাটা সেন্টার টেকনোলজিস সামিট অ্যান্ড গ্রিন ডাটা সেন্টার কনফারেন্স-২০১৬’ যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) ও আইইবি’র কম্পিউটার ডিভিশন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিবিএস এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক সংগঠন এশর-এর বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মানস কুমার মিত্র, ডিসি আইকনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ড হচ্ছে ডাটা সেন্টার। বর্তমানে দেশে ৫ শতাধিক ডাটা সেন্টার রয়েছে। তবে ডাটা সেন্টারের নিরাপত্তা রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশে এই প্রথম ডাটা সেন্টার নিয়ে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটই চলবে। এতে যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ভারত, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ এই ৮ দেশের ৩০ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে। এছাড়া আয়োজনে থাকছে বেশ কয়েকটি সেমিনার ও আলোচনা সভা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
ইইউডি/আরআইএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।