ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুই দেশের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
দুই দেশের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রথমেই বাংলায় স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত সব অতিথিকে আপন করে নিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা। ভাঙা ভাঙা মধুর বাংলায় বললেন কয়েকটি বাক্য। ‘আপনারা সবাই কেমন আছেন। ইন্ডিয়া ঘুরে দেখুন। ইন্ডিয়াতে আপনাদের স্বাগত জানাবো।’

ঢাকা: প্রথমেই বাংলায় স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত সব অতিথিকে আপন করে নিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা। ভাঙা ভাঙা মধুর বাংলায় বললেন কয়েকটি বাক্য।

‘আপনারা সবাই কেমন আছেন। ইন্ডিয়া ঘুরে দেখুন। ইন্ডিয়াতে আপনাদের স্বাগত জানাবো। ’
 
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে হাইকমিশনারের বাসভবন ইন্ডিয়া হাউজের খোলা প্রাঙ্গণে এভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল বাংলাদেশের একশো তরুণসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেন হাইকমিশনার শ্রীংলা।
 
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের  তরুণ শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা, শিক্ষক, লেখক, প্রকাশক, খেলোয়াড়সহ একশো জন রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন ৪ ডিসেম্বর। সন্ধ্যায় হয়ে গেল ‘ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া-২০১৬’ শীর্ষক প্রোগ্রামের ফ্লাগিং অফ অনুষ্ঠান।
 
অনুষ্ঠানে একশো ডেলিগেটস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই তরুণ তুর্কি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, ভোগ ম্যাগাজিনের প্রথম বাংলাদেশি প্রচ্ছদ মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া প্রমুখ।
 
অনুষ্ঠানের প্রথমে ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির উপর পাঁচ মিনিটের একটি স্লাইড শো প্রদর্শিত হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনার।
 
২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া ইয়ুথ ডেলিগেটসদের নিয়ে এ বিশেষ আয়োজনের পঞ্চম বর্ষের ডেলিগেটস ও আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শ্রীংলা বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচনের পর দুইশো জনের মধ্যে থেকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে একশো জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এরাই বাংলাদেশের আগামীর ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এ আয়োজন আমরা করেছি কারণ দু’দেশের তরুণরাই আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে। এ সফরে যারা সুযোগ পেয়েছেন সবার উচিত সফর স্মরণীয় করে রাখা। তারা ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস জানবে, দেখবে।
 
আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই তরুণরা আশাকরি এ সফরে তাদের সময়কে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু জানবে, শিখবে। প্রতিদিন একটি করে সাতদিনে অন্তত সাতটি জিনিস শিখবে। দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেন আরও সুদৃঢ় হয়। কারণ একাত্তর সাল থেকেই ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র।
 
বীরেন শিকদার বলেন, বাংলাদেশ থেকে এ সফরে যারা ভারতে যাচ্ছেন তাদের মাধ্যমে আশা করি দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুদুঢ়, বেগবান হবে।
 
বক্তব্য পর্ব শেষে ইয়ুথ ডেলিগেটস ২০১৬’র বন্ধুদের পরিবেশনায় নাচ, গান, আবৃত্তি মোহমুগ্ধ করে অতিথিদের।
 
সবশেষে ক্রিকেটার মোস্তাফিজ ও মিরাজ ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের বাংলা ওয়েবসাইট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
 
পরে এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মিরাজ বলেন, আমরা দেশের জন্য যখন কিছু করছি তখন গর্ব হয়, ভালো লাগে। বিভিন্ন দেশে যখন আমরা খেলতে যাই তখন আমাদের নানা ধরনের অভিজ্ঞতা হয়। এমন একটি অনুষ্ঠানে এসে আমি আনন্দিত।
 
মিরাজের পর মোস্তাফিজকে কিছু বলতে বললে স্বভাবসুলভ লাজুক ভঙ্গিতেই হেসে মাইক্রোফোন থেকে দূরে সরে যান। পরে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে হাসতে হাসতে সালাম দিয়ে শুধু বলেন, বেস্ট অব লাক।
 
একশোজনের এ দল ৪ ডিসেম্বর যাত্রা করে সাতদিনে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, আগ্রা, আহমেদাবাদ ও কলকাতা সফর শেষে ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।