ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পর্যটকের টাকায় চলে ওদের জীবিকা!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬
পর্যটকের টাকায় চলে ওদের জীবিকা! ছবি- আরিফ জাহান- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

জাফলংয়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত পিয়াইন নদী পারাপরের জন্য পশ্চিম ও পূর্বে তীরে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত ছোট-বড় ত্রিশটির মতো নৌকা। এসব নৌকার যাত্রী হয়ে প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ের মনমুগ্ধকর রূপ...

সিলেটের জাফলং থেকে ফিরে: জাফলংয়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত পিয়াইন নদী পারাপরের জন্য পশ্চিম ও পূর্বে তীরে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত ছোট-বড় ত্রিশটির মতো নৌকা। এসব নৌকার যাত্রী হয়ে প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ের মনমুগ্ধকর রূপ উপভোগের খেলায় মেতে ওঠেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা।

এক্ষেত্রে নৌকার মালিক ও চালকরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া চেষ্টা করেন মাত্র দু’টি বাড়তি পয়সা আয়ের আশায়।

কেননা ভালো সেবা দিতে পারলে অনেক পর্যটক খুশি হয়ে নির্ধারিত ভাড়ার পরও বখশিস হিসেবে কিছু পয়সা দিয়ে থাকেন। এভাবে পর্যটকের টাকায় চলে ওদের জীবিকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাফলংয়ের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আসা পর্যটকরা বল্লাঘাট এলাকায় আসেন। এরপর পিয়াইন নদী পারাপারের জন্য সোজা খেয়াঘাটে চলে যান।

কারণ নদীর ওপারে উত্তরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তের অবস্থান। দক্ষিণে বাংলাদেশের সংগ্রাম পুঞ্জি। এখানে খাসিয়াদের বসতবাড়ি, চা বাগান, পান বাগান, খাসিয়া জমিদার বাড়ি, ঝুলন্ত সেতু, মেঘ-পাহাড়ের লুকোচুরি সবকিছুই পাওয়া যায়। আর ওপারে যেতে নৌকার বিকল্প কোনো যান নেই।  
সুলতান, আলিম, সাগর, নজেরসহ নৌকার একাধিক মালিক ও চালক বাংলানিউজকে জানান, নদীর পারাপারের নৌকাগুলো শ্যালোমেশিন চালিত। এসব নৌকা ছাড়াও এই খেয়াঘাট হয়ে প্রায় ২৫০-৩০০টির মতো পাথর বহনকারী নৌকা চলাচল করে থাকে।

তারা আরো জানান, দুইভাবে নৌকাগুলো পর্যটকরা ভাড়া নিয়ে থাকেন। দলবেঁধে আসা পর্যটকরা নৌকা রিজার্ভ নেন। অপরদিকে এককভাবে আসা পর্যটকরা স্বাভাবিক ভাড়া দিয়ে নদী পারাপার হন।

তবে ইচ্ছে করলেই যেকোন নৌকা ভাড়া নিতে পারবেন না পর্যটকরা। কারণ ঘাটে বিশৃঙ্খলরোধে নৌকাগুলা চেইন সিস্টেমের মাধ্যমে চলাচল করে থাকে।

এসব ব্যক্তিরা জানান, গত বছরের এ সময়ে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক আসতেন জাফলংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু এ বছর সেভাবে পর্যটকরা এখনো আসা শুরু করেন নি। এতে করে তাদের খুব একটা আয় হচ্ছে না। কোনোরকম দিন চলে যাচ্ছে।

তারা আরো জানান, ডিসেম্বর মাস থেকে এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। চলে প্রায় চারমাস পর্যন্ত। সবেমাত্র ডিসেম্বর মাস পড়লো। দেখা যাক সামনের দিনগুলোতে পর্যটকদের কেমন আসেন।

বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন একেক জন নৌকা চালিয়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা আয় করতে পারছেন। যেখানে গত বছরের এ সময়ে ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা আয় হতো বলেও জানান তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমবিএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।