ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জুয়ায় পর্যটকের পকেট ফাঁকা, দোকানির মাথায় হাত!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬
জুয়ায় পর্যটকের পকেট ফাঁকা, দোকানির মাথায় হাত! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মো. আরিফ। বয়সে টগবগে যুবক। কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। অভাবের সংসার তার। বাবার খাটুনিতে যে আয় আসে তা দিয়ে সংসার ঠিক মতো চলে না।

সিলেটের জাফলং থেকে ফিরে: মো. আরিফ। বয়সে টগবগে যুবক।

কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। অভাবের সংসার তার। বাবার খাটুনিতে যে আয় আসে তা দিয়ে সংসার ঠিক মতো চলে না। তাই নিজেও জীবিকার সন্ধানে বের হন। চলে আসেন সিলেটের জাফলংয়ে।

পিয়াইন নদীর বল্লাঘাটের ভ্রাম্যমাণ দোকানি মহাজন আবুল মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে কথাবার্তার একপর্যায়ে তার সেই দোকানে কর্মচারীর কাজ জুটে আরিফের। এ দোকানে মণিপুরী ও খাসিয়াদের তৈরি তাঁতের বাহারি ডিজাইনের থ্রি পিস ও চাদর বিক্রি করেন তিনি।

একান্ত আলাপচারিতায় মো. আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, বল্লাঘাট এলাকায় এখন আর আগের মতো নিরাপত্তা নেই। এখানে প্রকাশ্যে কয়েকটি পয়েন্টে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও চাটুকদার কথায় তাদের পাল্লায় পড়ে যান।

কখনও কৌশলে আবার কখনও পর্যটকদের সেই জুয়ার আসরে বসতে বাধ্য করা হয়। আর জুয়া খেলে তারা হন সর্বস্বান্ত। তাদের পকেট ফাঁকা হয় যায়, পড়ে মাথায় হাত।

এছাড়া প্রায়ই চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে এ এলাকায়।

এসবের প্রভাবে বেচাবিক্রি কমে গেছে জানিয়ে আরিফ বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়। তবে ছুটির দিনগুলোতে একটু বেশি বেচাকেনা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিয়াইন নদীর পশ্চিম তীরে বল্লাঘাট এলাকায় প্রায় আড়াই শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানে পোশাক ছাড়াও রকমারি খেলনা, কসমেটিক সামগ্রী, বিভিন্ন ফলের আঁচার, চা, পারফিউমসহ ছোটদের নানা ধরনের পছন্দের জিনিসপত্র বেচাকেনা হয়।

স্থানীয় দোকানি আবু মিয়া, মিরাজ মিয়া, কাদের, জসিম বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসা আগের মতো নেই। চরম মন্দা অবস্থা চলছে। গেলো বছরের তুলনায় বেচাবিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এছাড়া ঘাট এলাকার বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি রাস্তা ভয়াবহ খারাপ আকার ধারণ করেছে।

তারা আর জানান, এখনও গত বছরের ন্যায় পর্যটক আসা শুরু করেনি। অথচ পর্যটকদের আসার সময় শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে দিনে পাঁচ হাজার টাকা বিক্রি করাই কঠিন।

তবে পর্যটকদের আশায় বুক বেঁধে আছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা।

** পর্যটকের টাকায় চলে ওদের জীবিকা!

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমবিএইচ/আরআইএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।