ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে শান্তির প্রার্থনায় উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
নারায়ণগঞ্জে শান্তির প্রার্থনায় উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্বময় শান্তির প্রার্থনায় উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। দিনটি উপলক্ষে শহরের দুটি গির্জা বর্ণিল আলোয় ভরে উঠেছে। গির্জাগুলোতে গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রিসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে।  

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে বিশ্বময় শান্তির প্রার্থনায় উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। দিনটি উপলক্ষে শহরের দুটি গির্জা বর্ণিল আলোয় ভরে উঠেছে।

গির্জাগুলোতে গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রিসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে।  

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে সকাল থেকেই আয়োজন করা হয়েছে প্রার্থনা সভা, কেক কাটা, কীর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বঙ্গবন্ধু সড়কের সাধু পৌলের গির্জা ও সিরাজউদ্দৌলা সড়কের ব্যাপ্টিস্ট চার্চকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। তৈরি করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি (আলোকসজ্জিত গাছ)।


বেলা সাড়ে ১১টায় সাধু পৌলের গির্জায় জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া এবং জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হকের উপস্থিতিতে কেক কেটে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানসহ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা।

জেলা প্রশসক রাব্বি মিয়া বলেন, আমরা যে মানুষ এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। আমরা নারায়ণগঞ্জকে একটি রোল মডেল হিসেবে স্থাপন করতে চাই এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।

তিনি বলেন, দেশ বেঁচে থাকলে আমরা বেঁচে থাকবো। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বড় দিনের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি সব সময়ের মতই নারায়ণগঞ্জে সকল ধর্মের মানুষ তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখবে। যিশু শান্তির যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা আমাদের বজায় রাখতে হবে।


জেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন বলেন, ''বড়দিন নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের বাধনে বাধা নয়।   এটি একটি সার্বজনীন উৎসব।   সব ধর্মের মানুষ এই উৎসবে শামিল হতে পারবে। এটাই উৎসবের সার্বজনীনতা।   আমাদের বড়দিনের প্রার্থনার মূল সুরও কিন্তু শান্তির আহ্বান। এবার আমরা তেমন আয়োজন করিনি। অনেকটা সাদামাটা আয়োজন চলছে। ''

জেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রেভারেন্ড মি. সৌরভ দেউড়ী বলেন, 'আজ থেকে ২ হাজার বছর আগে প্রভু যিশুখ্রিষ্ট আমাদের মাঝে এসেছিলেন। মানুষকে পাপ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা সুন্দরভাবে উৎসব পালন করছি। '

বড় দিনের নিরাপত্তার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন (ডিএসবি) বলেন, 'দুটি গির্জায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান পালনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। '

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।