ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাঠ রক্ষায় রাজপথে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৭
মাঠ রক্ষায় রাজপথে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা মাঠ রক্ষায় রাজপথে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: যে মাঠে অনুশীলন করেই জাতীয় দলে খেলেছেন অনেক খেলোয়াড়, পুরান ঢাকার সে মাঠটিকে বাণিজ্যিক পার্ক বানানো হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠটি রক্ষার আন্দোলনে তাই রাজপথে নেমেছেন জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা।

শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা একটি মানববন্ধন করেছেন।  

তাদের সঙ্গে ছিলেন- গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, বংশাল, ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুরের এলাকাবাসীসহ ক্রীড়া সংগঠকরা।


 
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আতাউর রহমান আতার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল, জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান খেলোয়াড় ইমন বাবু, সাবেক খেলোয়াড় মামুন বাবু, চাঁন মিয়া গামা ও মনসুর প্রমুখ।  

চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত বলেন, ধূপখোলার মাঠটিতে অনুশীলন করেই মনুসর, মামুন, বুলবুলরা জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। এই মাঠটির এত গুরুত্ব যে, এখানে পুরান ঢাকা হাজার হাজার শিশু-ছেলেরা অনুশীলন করে। কিন্তু এটা খুব দুঃখজনক যে, মাঠটিতে বাণিজ্যিক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
 
তিনি আরও বলেন, ধুপখোলা মাঠটি এমন যে, এখানে বড় বড় ম্যাচও অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী। অনায়াসেই এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাচের আয়োজন করা যায়। কাজেই মাঠটিকে ধ্বংস করা যাবে না।
 
প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করে এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বলেন, ক্রীড়াবান্ধব সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মাঠটিকে পার্ক বাননোর হাত থেকে রক্ষা করবেন।
 
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ধূপখোলার মাঠটি জাতির সেরা খেলোয়াড়দের তৈরি করেছে। এই মাঠটির এখনও অনেক গুরুত্ব। কেননা, ঢাকায় বর্তমান যে অবস্থা তাতে খেলার জন্য আর মাঠই নেই। তাই মাঠটিতে পার্ক বানানো হলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
ইইউডি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।