ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বইমেলায় স্টল বণ্টন নিয়ে প্রকাশনা সংস্থার প্রতিবাদ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
বইমেলায় স্টল বণ্টন নিয়ে প্রকাশনা সংস্থার প্রতিবাদ  স্টলে অসম বণ্টননীতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: এবারের একুশে বইমেলায় স্টল বরাদ্দে বাংলা একাডেমি অসম বণ্টননীতি অনুসরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশনা সংস্থা বেহুলা বাংলার স্বত্ত্বাধিকারী চন্দন চৌধুরী এ অভিযোগ করেন। 

তিনি বলেন, গত দুই বছর বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে অংশ নিয়েছে বেহুলা বাংলা। প্রকাশ করেছে দুই শতাধিক বই।

সারা বছর বই প্রকাশের পাশাপাশি শুধু ২০১৭ সালের মেলাতেই ৮৩টি নতুন বই প্রকাশ করেছে।  

‘চলতি বছর বইমেলায় তিনটি স্টলের জন্য আবেদন করেও এবার মাত্র এক ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের কমপক্ষে ২টি স্টল প্রয়োজন। কেননা এই স্টলে বই সাজিয়ে রাখাটাই হবে অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ’

তাই বইমেলায় বাংলা একাডেমির স্টল বণ্টনে ‘অসমনীতি’র প্রতিবাদ জানিয়ে ১১ জানুয়ারির মধ্যে স্টল বণ্টন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন চন্দন চৌধুরী।

তিনি বলেন, এর মধ্যে পুনরায় স্টল বণ্টন না করা হলে ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবিষয়ে  স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কবি গিরীশ গৈরিক বলেন, বেহুলাবাংলা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০টি উপন্যাস প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। যার কাজ ২০২০ সালে শেষ হবে। এর আগেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ করেছে ৭১টি উপন্যাস। এছাড়া মেঘ প্রকাশনীও ৫০টির বেশি বই প্রকাশ করেছে।  

‘যেখানে ৫০টি বই থাকলেই মেলায় স্টল পাওয়ার নিয়ম রয়েছে, সেখানে মেঘ প্রকাশনীকে কোনো স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অর্ধশতাধিক বই থাকা স্বত্ত্বেও কোনো স্টল বরাদ্দ পায়নি টাপুরটুপুর প্রকাশনীও। ’

কবি মাহবুব মিত্র বলেন, তারুণ্যনির্ভর প্রকাশনাগুলো ঠিকভাবে ইউনিট পাচ্ছে না। অথচ এবার প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১টি থেকে বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে। তাহলে কী বইমেলা বুর্জোয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে? 

‘যদি স্টল বাড়ানোর জায়গা না থাকে, তাহলে কীভাবে ২৫টি প্যাভিলিয়ন করা হয়,’ প্রশ্ন করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।