ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিক্ষোভ শেষ হলেও ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
বিক্ষোভ শেষ হলেও ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী  রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে-ছবি জি এম মুজিবুর

ঢাকা: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে রাস্তা থেকে সরেছেন আলেমরা।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিলেও ভোগান্তি কমেনি নগরবাসীর।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তার আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকেই টঙ্গী কলেজ গেট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত কোনো গাড়ির চাকা নড়েনি। পরে বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত হলেও রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় এই যানজট আরও তীব্র হয়।
 
কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণার পর পর গাজীপুর ও টঙ্গীতে যাতায়াত করা যানবাহনগুলো রাজধানীতে প্রবেশ করতে থাকে এবং বের হতে থাকে। এছাড়া আলেমরাও দুই দলে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর কাকরাইল ও টঙ্গীর উদ্দেশে রওনা হন। ফলে একসঙ্গে এতো গাড়ির চাপ ও মানুষের চাপ পড়ায় বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। কুড়িল ফ্লাইওভারের সবকয়টি অংশেই যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে যায়।

রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে-ছবি জি এম মুজিবুরসকাল থেকে একই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থেকেছেন যাত্রীরা। অনেকে শেষ পর্যন্ত পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।  
 
যাত্রী ও চালকরা বলছেন, ঢাকা শহরের যে কোনো এক দিকে ঘণ্টাখানেকের যানজট হলেই এর প্রভাব পড়ে সারা দিন-রাত। আর বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সারাদিন যানজট হলে তো কথাই নেই। এই যানজট রাজধানীর বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
 
এ বিষতে সুপ্রভাত পরিবহনের চালক কালাম বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন একই জায়গায় বসেছিলাম। রাস্তা এখন খুলেছে। কিন্তু সব গাড়ি একসঙ্গে বের হয়েছে। এই যানজট আরও ২-৪ ঘণ্টা থাকবে।  

রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে-ছবি জি এম মুজিবুর
 হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া পথচারী মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন,  সারাদিন এই অবরোধ চলছে। এখন তো অফিস টাইম শেষে সবাই বাসায় যাবে। এই সময় যানজট তীব্র হয়। তার ওপর এখন এতো লোকের চাপ ও গাড়ির চাপ, রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাই গাড়িতে বসে সময় নষ্ট না করে হেঁটে রওনা দিয়েছি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএসি/আরআর    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।