ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু ফেরার পর স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
বঙ্গবন্ধু ফেরার পর স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়

সংসদ ভবন থেকে:  বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সারের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করলেও মূলত এদেশের মানুষ বিজয়ের স্বাদ পায়, স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরার পর।

নেতারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। উন্নয়নের যাত্রা থামিয়ে দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে।  
 
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর সাধারণ আলোচনার সূত্রপাত করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এরপর আলোচনায় অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও  শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার আন্দোলনে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে স্বাধীনতার প্রশ্নে এক কাতারে একত্রিত করেছিলেন।  
  
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার প্রত্যাবর্তন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় হলেও প্রকৃতপক্ষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ ও আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে তার পূর্ণতা লাভ করে।  
 
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও তা অর্থবহ ছিল না, কেননা তখনও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্থবহ হয়। যে পাকিস্তানিরা এতো চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি,  খুনি মোশতাক-জিয়ারা তাকে হত্যার করলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এসকে/এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।