ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

রাজশাহী: রাজশাহীতে এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের পর চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ একজন আটকও করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আমজাদ হোসেন নামক ওই যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায় রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হাসান নাঈমের লোকজন। এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করে।

পরে তার বাড়িতে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়।  

আমজাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত আমজাদ হোসেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার গোছাবাজার গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। পড়াশোনা শেষে বর্তমানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ব্যবসা করেন।

আমজাদ হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে পেশাগত কাজে রাজশাহী এলে তাকে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হাসান নাঈমের অনুসারী ৫/৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী তুলে নিয়ে যায়।  

তারা রাজশাহী সিটি কলেজ হোস্টেলের দোতলার একটি কক্ষে আমজাদকে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। পরে মোবাইলে ফোন করে আমজাদের পরিবারের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বিকাশে ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয় এবং পরে আমজাদকে ফেরতের সময় বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়।

এরপর আমজাদের স্ত্রী বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ আমজাদের মোবাইলের নম্বর ট্র্যাক করে সন্ধ্যায় তাকে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নাঈমুল ইসলাম নাঈম বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সেই নাঈম নন। ওই নাঈম রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভের অনুসারী। সে নাঈম এই কাজটি করে থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে যে, তিনি সেই নাঈম নন।  

এদিকে, মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে সন্ধ্যায় আমজাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। রাতে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহাগ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত বর্তমানে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এসআই মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।