ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দিগন্ত-ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
দিগন্ত-ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি

সংসদ ভবন থেকে: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে লাইসেন্স পাওয়া বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল মতিনের পৃথক দুই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ তথ্য জানান।
 
তথ্যমন্ত্রী জানান, ২০০১-০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ৯টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল লাইসেন্স পেয়েছে।

একইসঙ্গে ঘোষণাপত্র পেয়েছে ২১৪টি পত্র-পত্রিকা। লাইসেন্স পাওয়া টিভি চ্যানেলগুলো হচ্ছে বৈশাখী টিভি, আর টিভি, বাংলা ভিশন, যমুনা টিভি, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান, সিএসবি নিউজ ও দেশ টিভি। এর মধ্যে চ্যানেল ওয়ান ও সিএসবি নিউজের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। আর দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার স্থগিত রাখা হয়েছে।
 
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। মন্ত্রী সংসদকে চ্যানেল দুটির সম্প্রচার বন্ধ রাখার কারণও ব্যাখ্যা করেন। তিনি চ্যানেল দু’টিকে দাঙ্গার উসকানিদাতা আখ্যা দেন।  

হাসানুল হক ইনু বলেন, হেফাজতে ইসলামের তেঁতুল হুজুরের (আল্লামা আহমদ শফি) নেতৃত্বে যেদিন (২০১৩ সালের ৫ মে) ঢাকা দখলের চেষ্টা চলছিলো তখন এই দুটি টিভি চ্যানেল সরকারের বিধি-নিষেধ না মেনে উসকানি দেয়। এটা দেখেই সেদিন সন্ধ্যার পর আমরা চ্যানেল দু’টির সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিই, যা এখনও বন্ধ আছে।
 
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪৫টি এবং নিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা ৩ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ১ হাজার ১৯১টি দৈনিক, ৩টি অর্ধ-সাপ্তাহিক, ১ হাজার ১৭৫টি সাপ্তাহিক, ২১২টি পাক্ষিক, ৪০৪টি মাসিক, ৭টি দ্বিমাসিক, ২৮টি ত্রৈমাসিক, ১টি চতুর্মাসিক এবং ২টি করে ষান্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকা রয়েছে। ঢাকা থেকে ১ হাজার ২৪৬টি এবং মফস্বল থেকে ১ হাজার ৭৭৯টি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, সারাদেশের অনলাইন পত্রিকার হালনাগাদ কোনো তালিকা সরকারের কাছে নেই। তবে তথ্য অধিদফতরে নিবন্ধনের জন্য ২ হাজার ১৮টি অনলাইন পত্রিকার আবেদন পাওয়া গেছে।
 
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র একটি গণমাধ্যম। বিভিন্ন জাতীয় বিষয় জোরালোভাবে উপস্থাপনের যোগ্যতা রাখে। চলচ্চিত্র শিল্পকে উন্নত করতে থোক বরাদ্দসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্রও হলিউড-বলিউডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারাবিশ্বের বাংলা ভাষীদের মনোরঞ্জনে সক্ষম হবে।

**নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।