ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হবিগঞ্জে পালিত হচ্ছে পৌষ সংক্রান্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
হবিগঞ্জে পালিত হচ্ছে পৌষ সংক্রান্তি পৌষ সংক্রান্তি

হবিগঞ্জ: পৌষ সংক্রান্তি উৎসবকে ঘিরে গ্রাম-বাংলার নারীরা নানা রকম  আয়োজন করেন। হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তোরজোড়ে চলছে পৌষ সংক্রান্তির আনুষ্ঠানিকতা।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জ শহরতলীর নারায়নপুরে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ঘরে নারীরা হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে পার করছেন ব্যস্ত সময়। বিয়ে হয়ে যাওয়া নারীরা সংক্রান্তি উপলক্ষে ফিরে এসেছেন পিত্রালয়ে।

এছাড়া প্রতিটি পরিবারের কিশোর-কিশোরীরা ব্যস্ত রয়েছে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে।

এ উপলক্ষে রোববার (১৪ জানুয়ারি) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে বসছে বিরাট মাছের মেলা। প্রতি বছরই পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করা হয়।  

মেলায় মৎস্য শিকারিরা নিয়ে আসেন বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ। স্থানীয়রা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সৌখিন লোকেরা এখানে আসেন মাছ কিনতে। এছাড়াও জেলার আজমিরীগঞ্জ এবং বানিয়াচংসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।  

হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা শর্বরী রায় বাংলানিউজকে বলেন, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে তার পরিবারের সবার মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তিনি বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে আত্মীয়-স্বজন আসবেন পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে। তাদের আপ্যায়নেরও ব্যবস্থাও করতে হবে।

শহরের চৌধুরী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুমিতা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন ছেলে-যুবারা গ্রামে গ্রামে ‘ভেড়াঘর উৎসব’ উদযাপন করে। খর ও বাঁশ দিয়ে বিশেষ ধরনের ঘর তৈরি করে এতে রাত্রি যাপন করে তারা। পুরো রাত এই ঘরেই চলে খাওয়া-দাওয়া। পরদিন ভোরে শীতল জলে স্নান সেরে আগুন দিয়ে ঘরটিকে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী বিজন রায় বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, রোববার পালিত হবে পৌষ সংক্রান্তি। উৎসবটিকে পৌষ সংক্রান্তি ছাড়াও মকর সংক্রান্তি, দধি সংক্রান্তি এবং বিশেষভাবে উত্তরায়ণ সংক্রান্তি নামে অভিহিত করা হয়। এইদিন পরিবারের সবাই বিশেষ করে শিশুরা নতুন জামা কাপড় পায়।

তিনি বলেন, সূর্যের দুইটি গতি আছে-উত্তরায়ন এবং দক্ষিণায়ন। মাঘ থেকে আষার এ ছয়মাস সূর্যদেব উত্তর গোলার্ধের উপরে থাকেন তাই এ সময়কে উত্তরায়ন বলে। আর শ্রাবণ থেকে পৌষ সময়কাল দক্ষিণায়ন।

বিজন রায় বাবুল আরও বলেন, পিতামহ ভীষ্মদেব কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দশম দিনে শরশয্যায় শায়িত হয়ে ৫৮ দিন অপেক্ষা করেন উত্তরায়নের জন্য। যাতে মর্ত্যলোকে আর আসতে না হয়। এজন্য আমরা এখনো সংক্রান্তি দিন ভীষ্মদেবের স্মৃতি তর্পণ করি।

বাংলাদেশ সময় ০২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমএসএ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।