ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রশ্নপত্র ফাঁস উন্নয়নের সমস্যা, প্রযুক্তির সমস্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
প্রশ্নপত্র ফাঁস উন্নয়নের সমস্যা, প্রযুক্তির সমস্যা

সংসদ ভবন থেকে: প্রশ্নপত্র ফাঁসকে উন্নয়নের সমস্যা, প্রযুক্তির সমস্যা বলে সংসদে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, সরকার বার বার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও কিছু সংখ্যক শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁসে সরাসরি জড়িত। 

প্রশ্নফাঁস রোধে এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষককে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার চাকরি থাকবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।



রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী  লীগ দলীয় সংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, এটা একটা দীর্ঘকালের সমস্যা। এজন্য আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। প্রথমত আমাদের সমস্যা বিজি প্রেস, যেটা আমাদের আওতায় না, জনপ্রশাসনের আওতায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিজি প্রেস নিরাপদ করেছি। এখন বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সম্ভবনা নেই বা হয়ও না।

তিনি আরও বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন যখন জেলায় পাঠানো হয় সেখানেও নিরাপদ করা হয়েছে। এরপর আমরা উপজেলায় রাখি, সেখানেও নিরাপদ করা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আমরা যখন পরীক্ষার দিন সকাল বেলায় বিভিন্ন সেন্টারে প্রশ্ন পাঠাই। দূর-দূরান্তের স্কুলগুলোতে দুই ঘণ্টা, চার ঘণ্টা আগে পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন দেখা যাচ্ছে যাদের হাতে পৌঁছে দেই, যেখানে আমাদের নিরাপদ ভাবা উচিত। সেখান থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষক তারা সরাসরি যুক্ত। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে কিছু শিক্ষক মোবাইল ফোন বা অন্যান্য কিছু ব্যবহার করে তারা আগে প্রশ্নপত্র খুলে এটা প্রচার করে দেন। এতে অর্থ রোজগারও করেন, আবার সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চান।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এসব মোকাবেলা করে যাচ্ছি। আমরা এবার আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছি। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি কোনোভাবে যদি কাউকে জড়িত পাওয়া যায় তার কঠোর শাস্তি হবে, শিক্ষকের চাকরি থাকবে না। ওই স্কুলের কেন্দ্র বাতিল হবে, স্কুল বাদ দিতে পারি। এছাড়া কোন ধরনের মোবাইলফোন কেউ হলের আশপাশে নিতে পারবে না। এটা আগেই সিদ্ধান্ত ছিল, এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে গিয়ে সিটে বসতে হবে তারপর খাম খোলা হবে। এটা পর্যবেক্ষণের জন্য মোবাইল টিম করে দিয়েছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যখন তখন গিয়ে হাজির হবে এই মোবাইল টিম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।