ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখের যানজট দূর করবেন মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখের যানজট দূর করবেন মন্ত্রী বিডা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল

ঢাকা: প্রধান সড়ক থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াতের সময় সৃষ্টি হওয়া যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম দেশের বিমানবন্দরগুলোকে আরো গতিশীল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিলে মন্ত্রী এ কথা জানান।

যানজটের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধান সড়কে যেতে তিন-চার ঘণ্টাও লেগে যায়।

এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আলাদা রাস্তা করার পরিকল্পনা আছে কিনা বিডা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমিও এটা চিন্তা-করছি। খুব সহজে যাতে গাড়িগুলো যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা করবো। আসলে আমাদের জায়গা কম, আমাদের জায়গাটা বাড়ানোর চেষ্টা করবো।

এখন লাগেজ ডেলিভারি পেতে আগের চেয়ে কম দেরি হয় দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারি আমি দেখলাম আরব আমিরাত থেকে একটি প্লেন এসেছে ১৫-২০ মিনিট আগে। আমি দাঁড়ানো থাকতে থাকতেই লাগেজ চলে এসেছে। কাজেই আমি উন্নতি দেখছি।

মন্ত্রী বলেন, সব বিমানবন্দরকে উন্নত করা এবং বিশ্বের অন্যান্য বিমানবন্দরের মতো করার চিন্তা-ভাবনা করছি। কাজ শুরু হয়েছে, আশা করি, শিগগিরই তা শেষ করতে পারবো। নির্বাচনের আগেই বিমানবন্দরগুলোর বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় করে প্রয়োজন অনুযায়ী সমাধান করতে পারবো।  

বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা একটি কর্নার বা লাউঞ্জ করতে বিডার প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি চেষ্টা করবো প্রস্তাব রক্ষা করার।

বিমানবন্দরগুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সোমবার একটি নোটিশ এসেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে। আমি নিজে গিয়ে সমস্যাগুলো দেখে ব্যবস্থা নেবো। বরিশাল বিমানবন্দরের লাইটিংয়ের জন্য বলেছিল, সেখানে লাইটের স্বল্পতা। লাইটগুলো বিদেশ থেকে আনতে হয়, আমাদের দেশে নেই। সোমবারই এজন্য পাঁচ কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী হওয়ার পরে নিজে থেকে চট্টগ্রামে গেছি। চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের ব্যাপারে মিটিং করেছি। রানওয়ে এক্সটেনশন করতে বলে এসেছি। সেটা অলরেডি কাজ শুরু হয়ে গেছে। খুব বেশি সমস্যা ওখানে নেই।

যুক্তরাজ্যের কার্গো পরিবহন বিষয়ক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, এখনো এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়নি। আশা করি, আমি এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করতে পারবো। ইনশাল্লাহ আমি আপনাদের সুসংবাদ দিতে পারবো।

দায়িত্ব নেওয়ার এ কয়েকদিনে অভিজ্ঞতা কী জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার বেটার এক্সপেরিয়েন্স। আমি মনে করি পারবো, ইনশাল্লাহ। যতো সমস্যাই থাকুক না কেন। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, নয় মাসে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কাজেই আমার অভিজ্ঞতা আছে, স্বাধীনতার আন্দোলনের পর থেকে। আমি পার্লামেন্টের মেম্বার ছিলাম ১৯৭৩ সালে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। আশা করি, আমি চেষ্টা করলেই, কাজগুলো শেষ করতে পারবো।

আমাকে কেউ কেউ বলেছে, এই মন্ত্রণালয় আগুনের মতো। আমি বলেছি না, আমি আগুন মনে করি না, আমি আগুনকে পানি করতে পারি। তবে আমি এক মাস/দুই মাসে সমস্যা সমাধান করতে পারবো না, আমাকে একটু সময় দিতে হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।