ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লালসা মেটাতে ‘ফাঁদ’ পেতেছিলেন আলাউদ্দিন

প্রশান্ত মিত্র, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
লালসা মেটাতে ‘ফাঁদ’ পেতেছিলেন আলাউদ্দিন আলাউদ্দিন আল আজাদ

ঢাকা: প্রেমের সম্পর্কে এনে বিয়ের প্রলোভন। তারপর শারীরিক লালসা চরিতার্থ। এরমধ্যে বিয়ের কথা বলা হলে পিছলে যেতে থাকেন। এমনকি হয়ে যান উধাও। এভাবে বেশ কয়েকজনকে ফাঁদে পেলে লালসা চরিতার্থ করেন। অবশেষে এক নারীর মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালে আটকা পড়তে হলো তাকে। সেখান থেকে শ্রীঘরে।

গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে আটকের পর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আলাউদ্দিন আল আজাদ নামে ওই অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার পাশবিক লালসার শিকার এক নারীর মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তভার পাওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আলাউদ্দিনকে আটকের পর আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পিবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, বহু নারীকে বিয়ে কিংবা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বরিশালের যুবক আলাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে।

পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ এক নারীকে ‘ভুয়া’ বিয়ের ফাঁদে ফেলেন প্রতারক আলাউদ্দিন আল আজাদ। ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের কথা বললেও ওই নারী একাধিকবার বিয়ে নিবন্ধনের কপি চাওয়ার পরও তা দিতে অস্বীকার করেন আলাউদ্দিন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই নারী অভিভাবকদের জানালে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই তাদের এলাকা বরিশালে গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে পুনরায় তাদের বিয়ে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন তাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন আলাউদ্দিন। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই নারীকে নিয়ে একটি বাসায় ওঠেন এবং ২৩ জুলাই ভাটারা এলাকায় বাসা নিয়ে একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু বিয়ে না করেই সপ্তাহ দুয়েক পর ১০ আগস্ট আলাউদ্দিন আত্মগোপনে চলে যান।

বাধ্য হয়ে ৮ অক্টোবর রাজধানীর বনানী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী। পরের বছর ২০১৭ সালের ১৪ মে আদালত মামলাটি পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে অনেক খোজাখুঁজির পর সোমবার রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে পাকড়াও করা হয়।

পিবিআই কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, আলাউদ্দিন আল আজাদ একজন প্রতারক ও ধর্ষণকারী। তিনি পেশাগতভাবে কিছুই করেন না। কিন্তু বিভিন্ন সময় একাধিক মেয়েকে অর্থ ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তিনি অনেকগুলো ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত।

কৌশলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করার কারণে তাকে গ্রেফতার করতে সময় লেগেছে বলেও জানান বশির আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
পিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।