ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চায় ওএফআইডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চায় ওএফআইডি সুলেইমান জাসির আল হারবিশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) মহাপরিচালক সুলেইমান জাসির আল হারবিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সুলেইমান জাসির বলেন, বাংলাদেশ ওপেক এর বড় অংশীদার এবং গত ৩২ বছর ধরে সুসম্পর্ক বিদ্যমান।  

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ওএফআইডি মহাপরিচালক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে জ্বালানি ইস্যু ও দারিদ্র্য বিমোচনে।

এসময় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন সুলেইমান জাসির আল হারবিশ।

ওএফআইডি মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান, বিশ্বে প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ওপেক জ্বালানির পাশাপাশি পানি ও খাদ্যের ওপরও গুরুত্ব দেয়।  

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করে সুলেইমান জানান, আগামী জুনে তিনি ওপেক এর কাউন্সিল মিটিংয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন, যাতে বাংলাদেশের জন্য আরো কিছু করা যায়।

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি রোহিঙ্গাদের ‍মিয়ানমারে প্রত্যাবসনে অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওএফআইডি মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান।  

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশে মাত্র ১১শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আওয়ামী লীগ সরকার একটিকে ৪৩শ মেগাওয়াটে উন্নীত করে ৫ বছরে। কিন্তু বিএনপি এসে বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে ৩২শ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্সন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ইতোমধ্যে একটি চুক্তি সই করেছে। নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সব সময় সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।

প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।