রোববার (১৪ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজামণ্ডপের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মেয়র একথা বলেন। এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাউদ্দিন, ডিএসসিসি সচিব শাহাবউদ্দিন ও বিভিন্ন পূজামণ্ডপের নেতার উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ এগিয়ে চলছে। তবে অনেকেই এর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। অবশ্য তা নতুন কোনো বিষয় নয়। বহু বছর আগে থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনা, নিজস্ব ভাবনা প্রতিফলন করে এসেছে। এতে বিভিন্ন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে মানুষ যদি তার ধর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হয় তাহলে এগুলো হওয়ার কথা নয়। যারা ধর্মকে নিজের মনের মতো করে পরিচালনা করতে চায় তারাই এগুলো সৃষ্টি করে। আমরা চাই যে চেতনায় দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই চেতনায় এগিয়ে চলবে।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
নিজের জীবনে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে মেয়র বলেন, ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে ঈদগায়ে যেতাম নাজাম পড়তে। আমি কোনোদিন দেখিনি ঈদগাহে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা, ছাতা নিয়ে আসা যাবে না, অমুকটা নিয়ে আসা যাবে না। এখন হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব সেখানেও মন্দিরে মন্দিরে পুলিশ পাহারা দিতে হয়। আগে তো কোনোদিন পুলিশ দেখিনি। আমাদের জীবন কেন এমন থাকবে? আমি মাঝে মাঝে খুব দুঃখিত, ব্যথিত হই।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক চাপ। আমরা সব উৎসব হাসিমুখে উদযাপন করবো, হাসিমুখে যাবো। কেন এতো ঘোষণা আসবে? সর্তক থাকতে হবে? আমাদের জীবন যেন কেমন একটা অদৃশ্য বেড়াজালের মধ্যে বারবার জড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা মুক্তভাবে হাসতে চাই বাঁচতে চাই। ঝুঁকি থাকতে পারে। সেটা প্রকাশ্যে এমনভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার তো কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। তাই আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন, ভয়ভিতিটা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। এটা তো বিএনপি-জামায়াতের সময় না। এই সময়ে এতো সর্তকতা, এতোবেশি উদ্বেগ আমি প্রয়োজন আমি মনে করি না।
বক্তব্য শেষে মেয়র ১৫২টি পূজামণ্ডপের নেতাদের হাতে অনুদান চেক তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এসএম/জেডএস