রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড় দখল করে নির্মিত প্রায় ১০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া প্রায় অর্ধশত দখলদারের মালামাল নিয়ে সরে যেতে বলা হয়।
এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরবাসী আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আমার কাছে মানুষের প্রত্যাশা আগের চেয়ে অনেক বেশি। আর সেই প্রত্যাশা পূরণ করতেই কাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একটি আধুনিক ও নতুন সিলেট গড়তে নগরবাসীর সহযোগিতা পেলে কাঙ্ক্ষিত মহানগর উপহার দেওয়া সম্ভব।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আধুনিক ও নতুন সিলেট গড়ে তুলতে কাজ শুরুর লক্ষ্যেই এ অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে সিসিক মেয়র বলেন, উচ্ছেদ হওয়া জায়গার ওপর ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় ধোপাদিঘীকে খনন করে এরপাশে ওয়াকওয়েসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়ে গেলে কিছুদিনের মধ্যে ধোপাদিঘী খননের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরীর ধোপাদিঘীর পূর্বপাড় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ‘চক্রে’র হাতে দখল হয়ে আছে। শুধু ধোপাদিঘীর পাড়ই নয়, দিঘীর বিশাল অংশও ভোগ দখল করে আছে এই চক্র। এমনকি তারা দিঘী এবং সরকারি জায়গার উপর ছোট-বড় ভবন ও দোকানপাট তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিষয়টি নজরে এলে গত নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও দখলদাররা জায়গা ছাড়েনি। অভিযানে অবৈধ দখলদারদের সময় দেওয়ার পরও যারা মালামাল সরাননি তাদের অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রকৌশলী আলী আকবরসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এনইউ/জেডএস