রোববার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছে স্থাপন করা নামফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
নামফলক স্থাপন উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বলেন, সচিবালয়ে যে গাছপালাগুলো আছে সেগুলোর নাম অনেকেই আমরা জানি না।
নামফলক স্থাপনের দু’টি সুবিধা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বাচ্চারা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম গাছের নাম জানে না। আমাদের অনেক গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, যে গাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সে গাছগুলোও যেন রোপণ করি। যেগুলো আছে সেগুলো যেন আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধর এবং যারা জানে না তারা পরিচিত হতে পারে।
বন মন্ত্রণালয় জানায়, ১৯৪৭ সালে একগুচ্ছ ভবন নিয়ে তদানীন্তন প্রাদেশিক সরকারের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় হিসাবে সচিবালয়ের যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান প্রশাসনিক দপ্তর হিসেবে এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ২৭ প্রজাতির ১০০টি ফলদ গাছ, ২৫ প্রজাতির ৩৬২টি বৃক্ষ, ৩৪ প্রজাতির ৪৫৮টি সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ রয়েছে। সচিবালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অক্সিজেন ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে ভবিষ্যতে আরো গাছ, ফুল ও ফলের চারা রোপণ করা হবে।
কর্মকর্তারা মনে করেন, একটি সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরের পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। বাড়িয়ে দিতে পারে কর্মস্পৃহা। এই মহৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে সুধীজনেরা এখানে বৃক্ষরোপণ করেছেন।
প্রতিটি গাছের নামফলকে সেটির বাংলা ও ইংরেজি নাম ছাড়াও বৈজ্ঞানিক নাম ও কোন গোত্রের তা উল্লেখ করা হয়েছে। গাছের নামফলক স্থাপনে বন অধিদফতরের উদ্যোগকে ভালো উদ্যোগ জানিয়ে মন্ত্রী অধিদফতরের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সচিবালয়ের অভ্যন্তরে গাছ লাগিয়ে একটি সবুজ-শ্যামল পরিবেশ তৈরি করা গেলে এখানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। এজন্য তার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আরো বেশি করে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস