রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রমেকের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে শিশুটি উদ্ধার করা হয়।
চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইয়াসমিন সুলতানা মুন্নি (৩২) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া মুন্নি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি কালিরহাট গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী।
রোববার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আব্দুল আলীম মাহমুদ তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার মুন্নির দ্বিতীয় স্বামী ফারুক মিয়া। আগের স্বামীর সংসারের এক পুত্রসন্তান রয়েছে । সেই সন্তান ও তার মাকে নিয়ে মুন্নি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করেন। ফারুক তার গ্রামে কনফেকশনারির ব্যবসা করেন।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, নবজাতকটি চুরি হওয়ার পর নগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তাকে উদ্ধারে মাঠে নামে। সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রোববার দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালের ওই পরিত্যক্ত ভবনে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নি নবজাতককে লালন-পালনের উদ্দেশ্যে চুরি করেছিলেন বলে স্বীকার করেন। তবে লালন-পালন নাকি চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল এবং এর সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত কি-না জানতে মুন্নিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার্স) মহিদুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মোত্তাকিন মিনান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার, সহকারী কমিশনার (ডিবি) আলতাফ হোসেনসহ নগর পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা।
গত বুধবার (১০ অক্টোবর) ভোরে হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটি চুরি হয়। এ ঘটনায় ওই নবজাতকের নানা সন্তোষ কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এএটি