রোববার (১৪ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার ফকির লালন সাঁইজির মুক্তমঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য। সেইসাথে সাঁইজির মাজার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ইতোমধ্যেই দূর-দূরন্ত থেকে সাধু ভক্তরা এসে আসর গাড়তে শুরু করেছে।
মেহেরপুর থেকে সকালেই এসেছেন ফকির দাউদ হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, সাঁইজির তিরোধান দিবস উপলক্ষে আমরা এখানে এসেছি। এখানে আসলে আমাদের ভালো লাগে। সাঁইজির বানীগুলো কানে ভাসে। তাই আগেই চলে এসেছি।
ছেঁউড়িয়া লালন মাজারের খাদেম মহম্মদ আলী শাহ বাংলানিউজকে জানান, ১২৯৭ বাংলা সনের ১ কার্তিক, ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর এই আধ্যাত্মিক বাউল সাধক লালন শাহ’র মৃত্যু হয়। তার তিরোধান দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ভক্তরা এ উৎসব পালন করতে সমবেত হয়ে থাকে। এসময় আখড়াবাড়ি দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো প্রাণের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে।
লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ফকির লালন শাহ’র ১২৮তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে এবারে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্যান্ডেলের কাজ কিছু বাকি আছে সেটাও হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এবারে লালন মেলায় নিরাপত্তার জন্য নয় জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। সেইসঙ্গে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ, আনসার সদস্য এবং লালন একাডেমির স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারেও লালন ভক্তদের জন্য বিকেলে অদিবাস, সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণসেবা ব্যবস্থা রয়েছে।
এবারে ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আয়োজন চলবে ১৮ অক্টোবর গভীর রাত পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
আরএ