আর এসব ডিভাইসের মাধ্যমে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে জেলা পর্যায়ে ১৯২টি নির্বাচনি অফিসে স্টেশন বা টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রায় দেড় মাস আগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে চীনে পাঠিয়েছে ইসি।
চীনা অনুদানের নিশ্চয়তা পেলেই ‘ইউজ অব ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম’ (ওয়াকিটকি) শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ১৫৩ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ওয়াকিটকি এবং টার্মিনাল সেট আসবে চীন থেকে। এসব যন্ত্রাংশ চীন থেকে আনতে ভ্যাটসহ বিভিন্ন কাজে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার। বাকি অনুদান আসবে চীন থেকে।
এ বিষয়ে ইআরডি’র এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওয়াকিটকি কেনা প্রকল্পে চীন সরকারের অনুদান চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেড় মাসেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। আমরা চীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। ইতিবাচক সাড়া পেলেই ইসিকে জানানো হবে’।
সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে ৮৪ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ওয়াকিটকির জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা সংস্থান রাখার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় ইসি। তবে এ টাকার মধ্যে ওয়াকিটকির জন্য ৫৩ কোটি আর বাকি টাকা ইভিএম কেনার জন্য।
ওয়াকিটকি কেনা প্রসঙ্গে রোববার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, চীন সরকার বিভিন্ন দেশকে ওয়াকিটকি অনুদান হিসেবে দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরাও নির্বাচন পরিচালনার জন্য ওয়াকিটকির বিষয়ে ইআরডি’র মাধ্যমে চীন সরকারের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি যদি চীন সরকার অনুমোদন দেয় তাহলে আমরা এটি প্রকল্প হিসেবে নিবো।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করছি চীন বিষয়টিতে অনুমোদন দেবে। সেজন্য ট্যাক্সের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫৩ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি প্রকল্পটি নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে এর আওতায় এক হাজার ৯২০টি হ্যান্ডসেট এবং ১৯২টি স্টেশন আনা হবে। নির্বাচনে হ্যান্ডসেটগুলো রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা ব্যবহার করবেন। আর পুরো প্রকল্পের সাফল্য পেতে ১৯২টি স্টেশন জেলা নির্বাচন অফিসে স্থাপন করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের দিন মোবাইল নেটওয়ার্কে অনেক সমস্যা থাকে। তাছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে মোবাইলের নেটওয়ার্কগুলো কাজ করে কম। যার ফলে কেন্দ্রের তথ্যগুলো উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো সম্ভব হয় না। এ পদ্ধতি চালু হলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন এবং কোনো বিশৃঙ্খলা হলে ছবিও তুলতে পারবেন। মূলত নির্বাচন পরিচালনায় ওয়াকিটকি সহায়ক হবে’।
প্রকল্পে চীনা অনুদানের বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। অনুদান না পাওয়া গেলে সরকারি অর্থ খরচ করে একটা ওয়াকিটকিও কেনা হবে না বলে জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস