মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে দায়িত্ব পালন করছিলেন শহরের দক্ষিণ পৈরতলার এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে। এসময় মহাসড়কের বাইপাস ব্রিজের কাছাকাছি থেকে একটি খামে মোড়ানো কাগজ পড়ে থাকতে দেখেন।
শুরু হয় মালিক খুঁজে বের করার তৎপরতা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রোববার (১৪ অক্টোবর) রাতে শেষ পর্যন্ত সেই দলিলের মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তার দলিল।
এটিএসআই ফরহাদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, পৈরতলা থেকে দায়িত্ব পালন করে মোটরসাইকেল যোগে শহরের বর্ডার বাজার এলাকায় দিকে আসছিলাম। তখন দেখি রাস্তার নিচে একটি খাম মোড়ানো কাগজ পড়ে আছে। এর উপর দিয়ে একটার পর একটা গাড়ি চলাচল করছে। তখন আমার মনে সন্দেহ হলো দেখি খামটা কীসের। পরে গাড়ি থেকে নেমে খামটা হাতে নিয়ে খুলে দেখি দু’টি মূল্যবান দলিল।
‘দলিলের মালিককে পাওয়া খুঁজে পাওয়া কঠিন। স্যারদের পরামর্শ অনুযায়ী দলিলে লেখা নাম অনুযায়ী খুঁজে বের করি দলিল লেখক সাদেকুর রহমানকে। তিনি দেখে জানান এই দলিল মাজহারুল ইসলামের। পেশায় একজন মাদরাসা শিক্ষক। থাকেন পীরবাড়ি পুলিশ লাইন এলাকায়। দলিলগুলো মাজহারুলের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নে কেন্দাই গ্রামের। ’
তার ফোন নম্বর নিয়ে কথা বলে রোববার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ট্রাফিক অফিসে আসতে বলি। পরে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে তার বাড়ির দলিলটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পীরবাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে যাওয়ার সময় পথে কোনো এক সময় পকেট থেকে দলিলটি পড়ে যায়। বাড়ি এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। কয়েকদিন পর আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। পরিচয় দিয়ে বলে আমি পুলিশ ফরহাদ মিয়া। আপনার বাড়ির দলিলটি পাওয়া গেছে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। তার মহানুভবতার কারণেই আমার হারিয়ে যাওয়া দলিলটি ফিরে পেলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এএ