এবার মিয়ানমার থেকে এসে আশ্রয় নেওয়া উখিয়ার হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় এবার বেড়েছে আটটি পূজামণ্ডপ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করায় এবারের পূজাও সার্বজনীন উৎসবে রূপ নেবে- এমন আশাবাদ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার ৭১টি ইউনিয়ন এবং ৪টি পৌরসভার ৩০১টি পূজামণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪১টি প্রতিমা ও ১৬০টি ঘটপূজা।
আগামী ১৯ অক্টোবর শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বসবে দেশের অন্যতম বড় বিজয়া দশমীর উৎসব। ওইদিন দেবী মাকে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় এ ধর্মীয় উৎসব।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এবারের পূজা হয়ে উঠবে উৎসবমুখর, জাঁকজমকপূর্ণ এবং অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন উৎসব। সফলভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপকে আকর্ষণীয় সাজে সাজানো হয়েছে। আমরা আশা করছি প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উৎসব শেষ হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি পূজামণ্ডপে পোশাকধারী পুলিশ, আনসার সদস্য এবং পূজা উদযাপন পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকসহ তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে থাকবে গোয়েন্দা পুলিশ।
এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে শুধু সৈকত এলাকায় সাড়ে চারশ ফোর্স সৈকতের নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন থাকবে। ওইদিন আশপাশের সড়কগুলোতে যানজট প্রতিরোধে থাকবে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এএ