মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকে কাঠি পড়েছে। বাজছে শঙ্খ, ঘণ্টা আর কাঁসর।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
হিন্দু পূরাণ মতে, দুর্গাপূজার সঠিক সময় বসন্তকাল। কিন্তু বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র, রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন। সেই থেকে অকালবোধন হওয়া পরেও শরতকালে দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়।
সকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টায়। বুধবার (১৭ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীর পূজা হবে সকাল ৯টায় এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৭টায় পূজা সমাপণ ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টায়। পরে প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) অন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
আরআর