মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে লালন সাঁইজির তিরোধান দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীন মেলা।
এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে থেকেই লালন আখড়াবাড়ীতে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই দলে দলে সাধুরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই তারা শুরু করেছেন ক্ষুদ্র আসরে বাউলা গান।
কেউ কেউ আবার গুরুর মুখে শুনছেন দেহতত্বের কথা, জানার চেষ্টা করছেন মানবজীবন সম্পর্কে। সব মিলিয়ে লালন আখড়াবাড়ীতে উৎসব প্রায় জমে উঠেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে লালন মেলা শুরু হবে মঙ্গলবার। আজ সারাদিন সাধুরা এসে ঠাঁই নেবেন আখড়াবাড়ীতে। ইতোমধ্যেই যারা আখড়াবাড়ীতে চলে এসেছেন তারা কেউবা বিশ্রাম নিচ্ছেন কেউবা ধরেছেন সাঁইজির গান।
সোমবার সকালে লালন আখড়াবাড়ীতে দেখা যায় কাঙালিনী সুফিয়াকে। প্রায় ৬০ বছরের এই বাউল শিল্পী তার গানের সুরের মধ্য দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন ক্ষুদ্র গানের আসরকে। তার এই গানের আসর ঘিরে বসে রয়েছে ভক্তরা।
সাধু ফকির হাবিল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখানে আমরা আসি আত্মার টানে। লালন তিরোধান দিবসের উৎসব শুরু হবে মঙ্গলবার কিন্তু আমরা রোববারেই চলে এসেছি। সাঁইজির গেয়ে যাওয়া অমর গান গাইছি, ভক্তরা সেগুলো শুনছেন। আমরা গানের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ফকির নাদিম শাহ বাংলানিউজকে বলেন, সাঁইজির গান গাওয়ার কোনো সময় হয় না। যেকোন সময় সাঁইজির গান গাওয়া যায়। এর জন্য আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন পড়ে না বাউল ভক্তদের। মূল বিষয় হলো সাঁইজির বাণী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং বাস্তবে কাজে লাগানো।
উল্লেখ্য ফকির লালন শাহ’র ১২৮তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠান চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
অারএ