তিনি আরো বলেন, কিন্তু যে মুনাফেকি করে, পার্টির ভেতরে বিদ্রোহ করে তাকে কিন্তু তিনি দলে রাখেন না। অনেকেই অনেকের বিরুদ্ধে বলছেন।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাউছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে বিভাগের সব জেলা, উপজেলা ও মহানগরের মুক্তিযোদ্ধারদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রশিদুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বহু বছর পর দেশের হাল ধরেছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন তিনি। বাবার মতো প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে নৌকার জন্য একাত্তর সালে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, আগামী নির্বাচনে সেই নৌকার দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ এসে যাতে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে, সন্ত্রাসী সৃষ্টি করতে না পারে, কারো ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিগত সময়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে ষড়যন্ত্রকারীদের অভাব নেই। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। কোন এলাকায় কোনো শিথিলতার সুযোগ নাই। সবাইকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব একেএম ফরহাদ হোসেন, সদস্য আব্দুল মোতালেব পাঠান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকে নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী-৩ সাংসদ আয়েন উদ্দিন, নওগাঁর সংসদ সদস্য সাধন কুমার মজুমদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহীর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান আলী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা এবং মহানগরের সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক। সভার শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ