প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের দেশে কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষক এবং উদ্ভিদ প্রজননবিদ, যারা বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করেন তাদের প্রচেষ্টায় অধিকার সংরক্ষণ এবং স্থানীয় কৃষকেরা যে জাত উদ্ভাবন করে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে এ আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্ল্যান্ট ভ্যারাইটি প্রটেকশন অ্যাক্ট’ নামে বিভিন্ন দেশে আইন আছে। ভারতেও আছে। সেটাকে অনুসরণ করে এই আইন। ‘ট্রেডস রিলেটেড আসপেক্টস অব ইন্টেলিজেন্স প্রপার্টি রাইটস’ চুক্তির সাথে এটার প্রাসঙ্গিকতা আছে। অর্থাৎ আমাদের যারা জাত উদ্ভাবন করে, সংরক্ষণ করেন তাদের একটা মেধাসত্ব আছে। আমরা ‘কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি’ সই করেছি। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে আইনটি করা হয়েছে।
আইনে একটি কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’। এই কর্তৃপক্ষের কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, উদ্ভিদ প্রজননবিদের অধিকারের স্বীকৃতি হিসেবে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ সনদ প্রদান এবং কোনো মানদণ্ড লঙ্ঘন করলে সনদের নিবন্ধন বাতিল করা।
কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হবেন বোর্ডের সভাপতি হবে। কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিএডিডসি, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, গম গবেষণা ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হবে। বোর্ডের সভা হবে ছয় মাসে একবার। এক-তৃতীয়াংশ সদস্য থাকলে কোরাম হবে।
আইনে দণ্ডের মধ্যে রয়েছে, কোন ব্যক্তি উদ্ভিদের জাতের মিথ্যা নাম দিয়ে অথবা নিবন্ধিত কোন জাতের মিথ্যা তথ্য দিলে অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হবে। কোন কোম্পানি করলেও একই দণ্ড হবে।
এই আইনে অপরাধ জামিনযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ