সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বক্তারা।
‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন ২০১৮’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পাঁচটি নারীবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জেন্ডার প্লাটফর্ম।
সংবাদ সম্মেলনে ওশি ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাহিদা আক্তার কনা বলেন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে সুনির্দিষ্ট আইন জরুরি। বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি হলে এটা বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিষ্পত্তি করার কোনো আইন নেই। সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনার বাইরে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন। আইন করা হলে কোনো ভুক্তভোগীকে আদালতে বছরের পর বছর দৌড়াতে হবে না। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই ন্যায়বিচার পাবে।
ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ বাবলুর রহমান যৌন হয়রানি বন্ধে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে সেল গঠনের দাবি জানান। তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানে এই সেল থাকলে যৌন হয়রানি যেমন বন্ধ হবে, একইসঙ্গে এটা কমে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের হয়রানি প্রতিকূল অবস্থার তৈরি করে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একইসঙ্গে যৌন হয়রানি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এরপরও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন তৈরি হচ্ছে না। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ আদালতের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধ করতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। দেশে কোনো নির্দিষ্ট আইন না থাকায় আদালতের ওই নির্দেশনাকেই আইন হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। এখন সময় এসেছে এ সংক্রান্ত একটি আইন করার। জেন্ডার প্লাটফর্মের পক্ষে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যেটি আইন মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে এরইমধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকী রোজোয়ান, বিলসের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ও পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
ইএআর/জেডএস