ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ষষ্ঠীতেই পূজার আমেজ সর্বত্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
ষষ্ঠীতেই পূজার আমেজ সর্বত্র অঞ্জলি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মহাষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতায় শুরু হয়েছে_ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: ষষ্ঠী পূজা করতে হয় বেলতলায়। সেখানে ভক্তরা মনপ্রাণ দিয়ে উপাসনা করে। কৈলাস থেকে মহাদেব স্বর্গের ভক্তিতে আহ্বান করে। সেখানে ভগবতী মর্ত্যধামে এসে জীবের মনোবাসনা পূর্ণ করেন। এমনটাই বলছিলেন বিভিন্ন মণ্ডপের পুরোহিতরা।

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রথম দিন সোমবার (১৫ আগষ্ট) মহাষষ্ঠী। এদিন উলুধ্বনি আর ঘণ্টার শব্দ এবং অঞ্জলি দেওয়ার মধ্য দিয়ে সকালে মহাষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতায় শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব।

মন্ত্রপাঠ ও আরাধনায় আমন্ত্রণ জানানো হয় দুর্গা মাকে। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন উল্লেখ করে ষষ্ঠীর প্রতিপাদ্য তুলে ধরেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিতরা।

পূজার মাধ্যমে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পূজামণ্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান দেওয়া হয়েছে। দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা ভক্তদের পূজা গ্রহণের জন্য স্বর্গ থেকে মর্ত্যে এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। সঙ্গে আছে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। বিজয়া দশমী পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মুখরিত থাকবে পূজামণ্ডপ এলাকাগুলো।

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, এদিন সকাল থেকেই চণ্ডিপাঠে মুখরিত হয়ে আছে সব মণ্ডপ ও এর আশপাশের এলাকা। চলছে হিন্দু ধর্মানুরাগীদের ভজন, পূজন ও দেবী আরাধনা।

ষষ্ঠী পূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপে চণ্ডিপাঠ, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ঢাক-ঢোলের বাজনা, উলুধ্বনির মাধ্যমে বর্ণিল আয়োজনে ‘দুর্গতিনাশিনী’ দেবী দুর্গার ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হচ্ছে। এছাড়াও ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে সন্ধ্যার পর পূজামণ্ডপে ভিড় জমান ভক্তরা।

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠের পূজামণ্ডপে দর্শনার্থী রুমন ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, দেবী দুর্গাকে দেখতে পূজামণ্ডপে আসেন ভক্তরা। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর শ্রীচরণে দেবেন পুষ্পাঞ্জলি। এরপর দেশ ও দশের মঙ্গল কামনার্থে কৃপা প্রার্থনা করবেন কল্যাণ, সুখ ও সমৃদ্ধির।

সন্ধ্যায় ঢাক-ঢোলের বাদ্যে দেওয়া হয় আরতি। আরতির তালে আনন্দে মেতে উঠে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা। এ প্রসঙ্গে রাজধানীর কলাবাগান পূজামণ্ডপে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানিক রক্ষিতের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিশু-কিশোর আর তরুণদের কাছে এ উৎসব কেবলই আনন্দের। রং ছিটিয়ে, নতুন কাপড় পরে, ঢোলের তালে তালে নৃত্য যেন পাগল করে দেয়। আর পূজার সে পাগলামো একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ে বাড়ি বাড়ি, পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে, শহরে শহরে সর্বত্র।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টায়। বুধবার (১৭ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীর পূজা হবে সকাল ৯টায় এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৭টায় পূজা সমাপণ ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টায়। পরে প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এইচএমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।