সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সৌদি সফর নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামীকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরঙ্গীরা সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ১৭ অক্টোবর রিয়াদে সৌদি আরবের বাদশার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রী মহানবী ( স.) এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। তারপর তিনি মদিনা থেকে মক্কা যাবেন ও পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৯ অক্টোবর জেদ্দা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি আরব সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি সই হতে পারে। এরমধ্যে একটি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা, দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতা অন্যতম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক আরো জোরালো ও বহুমুখী হয়েছে। আবহমান ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী ইসলামী সামরিক জোটে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, সৌদি আরব কর্তৃক আয়োজিত এক মাসব্যাপী চলতি বছর ১৮ মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে। এ মহড়ায় মোট ২৩টি বন্ধুপ্রতীম দেশ অংশ নিয়েছিলো। এছাড়া সৌদি বাদশাহের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী চলতি বছর ১৬ এপ্রিল যৌথ মহড়ার সমাপনী ও কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
মাহমুদ আলী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৌদি সফরকালে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অর্জিত সাফল্য সৌদি নেতৃবৃন্দের নিকট তুলে ধরবেন এবং দারিদ্র্য ও শোষণমূক্ত জ্ঞান-ভিত্তিক উন্নত সোনার বাংলা নির্মাণে আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবের আরো বেশি অংশিদারিত্বের উপায় ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন। শ্রমখাত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহায়তা, মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য ও সমৃদ্ধি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয় এ সফরকালে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ চলছে। এ মাসের শেষের দিকে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। এ প্রতিনিধি দল কক্সবাজার সফরে যাবে।
মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যেই ৮ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাই করে পাঠিয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
টিআর/এমজেএফ